স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে টিআর প্রকল্পের দুই দিন কাজ করানো হয়। টিআর প্রকল্পের কোনো কাজ করা হয়নি। প্রকল্প এনে কি করা হয়েছে, তা কারও জানা নেই। সব টাকাই লুটপাট করা হয়েছে।
তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের খালেক সরদারের বাড়ি হতে গুচ্ছ গ্রাম অভিমুখে রাস্তা সংষ্কারের জন্য প্রায় ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্প সভাপতি খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুর রব। গত ৩০ জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা। অথচ সেই কাজ বাস্তবায়ন না করে ৩০ জুন বিল তুলে নিয়েছেন প্রকল্প সভাপতি।
প্রকল্পের স্থান হাজরাকাটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্প সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রব কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে দুই দিন ওই টিআর প্রকল্পের কাজ করেছেন। টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে প্রকল্প এলাকায় কোনো কাজ করা হয়নি।
হাজরাকাটি গ্রামের মুনসুর গাজী বলেন, ‘রাস্তায় কোনো মাটি ফেলা হয়নি। খানাখন্দ রয়েছে। ঠিকমতো কাজ হলে হেঁটে আমরা স্বস্তি পেতাম।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মসৃজন প্রকল্পের একজন শ্রমিক বলেন,‘স্থানীয় ইউপি সদস্য যেভাবে বলেছে, আমরা সেইভাবে দুই দিন রাস্তায় কাজ করেছি। তিনি আমাদের নেতা।’
তবে প্রকল্প সভাপতি আব্দুর রব’র দাবি, বরাদ্দ পেয়ে কাজ করেছিলাম। কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক ওখানে কাজ করেনি।
খলিলনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, বরাদ্দ হলেও রাস্তায় যথাযথ কাজ হয়নি। অথচ বরাদ্দ উত্তোলন করেছেন মেম্বর আব্দুর রব। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি আমি জানিয়েছি।
খলিলনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোড়ল সিরাজুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দ কৃত টাকায় কোন কাজ হয়নি। বরাদ্দ তুলেই লুটপাট করেছে।
তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাহাফুজুর রহমান বলেন, বরাদ্দ হয়েছে, বিলও সব প্রকল্প সভাপতি নিয়ে নিয়েছে। তবে কাজ বাস্তবায়ন নিয়ে অভিযোগ আছে।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিন জানান,তার কাছে এমন কোনো অভিযোগ নেই। তবে এমন হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে voiceofsatkhira