দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
সুন্দরবনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান অতিথি বলেন, সুন্দরবন বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সম্পদ। এই বন এতদাঞ্চলের মানুষকে মায়ের মতো আগলে রেখেছে। তাই সুন্দরবনকে রক্ষার জন্য এই অঞ্চলের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে।
সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের আশীর্বাদ উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, ১৯৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড়, সিডর, আইলার মতো প্রলয়ংকরী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এই বন আমাদেরকে রক্ষা করেছিলো। এই বন না থাকলে প্রাণহানি আরো বেশি হতো।
কিন্তু আনেকেই না জেনে না বুঝে অবৈধভাবে এই বনের কাঠ কেটে, হরিণ শিকার করে এই বনকে ধ্বংস করছে, এর অনন্য জীববৈচিত্রকে হুমকীর মুখে ফেলছে। তাদেরকে বোঝাতে হবে যে এই বন না থাকলে তোমাদের অস্তিত্বত্ত থাকবে না।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই বনকে বিদেশী এবং দেশী পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে পারলে তা এদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি সুন্দরবনে মাস টুরিজমের পরিবর্তে ইকো টুরিজম বাস্তবায়নের জন্য বন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন ট্রাভেলিং এজেন্সির প্রতি আহবান জানান।
খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন, পেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রফিউল ইসলাম টুটুল, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ প্রমূখ। স্বাগত বক্তৃতা করেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ।
পরে প্রধান অতিথি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এর আগে সকালে নগরীর হাদিস পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। সূত্র-পিআইডি খুলনা(নম্বর-৭০)