মুক্তি যোদ্ধা প্রশ্নে জামায়াতে বিভক্তি: ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগ: সাবেক শিবির সভাপতিকে বহিষ্কার

ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট: ১৯৭১ সালে মুক্তি যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান প্রশ্নে ধর্শভিত্তিক দল জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। দলটির প্রভাবশালী নেতা সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছেন। একই সময়ে দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রুবার দলটির প্রচার বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মুক্তি যুদ্ধে জামায়াতের কর্মকান্ড নিয়ে নতুন প্রজন্মরা ভিন্ন মত দিতে থাকায় দলটির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে।

দু’টি কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগপত্রে দলটির সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জামায়াত ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধিনাতার বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি এবং একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতার আলোকে ও অন্যান্য মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বিবেচনায় এনে নিজেদের সংস্কার করতে পারেনি। বৃহষ্পতিবার সকালে যুক্তরাজ্য থেকে পাঠানো এক চিঠিতে দলের আমীর মকবুল আহমদের কাছে এই পদত্যাগপত্র দেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। তার ব্যক্তিগত সহকারী কাউসার হামিদ পদত্যাগপত্রটি পত্রিকায় পাঠান। এ ব্যাপারে কাউসার হামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছেন। কেন পদত্যাগ করেছেন তার বিস্তারিত সেই পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সমাজ গঠনে জামায়াতের অনেক মুল্যবান অবদান থাকা সত্ত্বেও একবিংশ শতাব্দীতে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অপারগ হয়ে পড়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল।

তিনি বলেন, আমি বিগত প্রায় দুই দশক নিরবিচ্ছিন্নভাবে জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং ওই সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

কিন্তু তার সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফলস্বরূপ ক্ষমা না চাওয়ার দায়ভার আজ তাদেরও নিতে হচ্ছে। যারা তখন এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত ছিল না, এমনকি যারা ৭১-এ জন্ম গ্রহণও করেনি। অধিকন্তু, অনাগত প্রজন্ম যারা ভবিষ্যতে জামায়াতের সঙ্গে জড়িত হতে পারে তেমন সম্ভাবনাময় ব্যক্তিদেরকেও এই দায়ভার বহন করতে হবে। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, জামায়াতে যোগদান করার পর তিনি দলের ভেতরে থেকেই সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কাঠামোগত সংস্কার, নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ এবং অন্যান্য মৌলিক পরিবর্তনের পক্ষে তার মতামত তুলে ধরেন। ২০১৬ সালে জামায়াতের আমীরের কাছে লিখিত চিঠিতে তিনি অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সংস্কারের উদাহরণ টেনে আভ্যন্তরিন সংস্কারের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন।

পদত্যাগপত্রের শুরুতেই, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দলীয় প্রধানকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ১৯৮৬ সালে যোগদানের পর থেকে আজ অবধি আমি সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করেছি। বিগত তিন দশক ধরে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সাধ্যমত পালন করতে সচেষ্ট থেকেছি। প্রধান কৌশলী হিসাবে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মামলা আস্থা, সততা ও একাগ্রতার সঙ্গে পরিচালনা করেছি। আমার বিশ্বাস, জামায়াতের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে শুধু ইসলাম নির্দেশিত কর্তব্যই নয়, দেশের প্রতিও দায়িত্ব পালন সম্পন্ন হয়।

জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতি মুক্ত রাজনীতি, অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র ও দলকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার মাধ্যমে দেশের জন্য অসংখ্য সৎ, দক্ষ ও কর্মনিষ্ঠ নাগরিক তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এতদসত্ত্বেও জামায়াত একবিংশ শতাব্দীতে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অপারগ হয়ে পড়েছে। একথা অনস্বীকার্য যে, জামায়াত স্বতস্ফুর্তভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব মেনে নিয়েছে। এই দেশের স্বার্থবিরোধী কোন কর্মকান্ডের সঙ্গে জামায়াত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয়। অধিকন্তু, জামায়াত গত শতাব্দীর ৬০-এর দশকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সকল সংগ্রামে অংশগ্রহণকরেছে; যেমন, কমবাইন্ড অপজিশন পার্টি (কপ), পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পি ডি এম) এবং ডেমোক্রেটিক একশন কমিটি (ডাক)। একইভাবে গত শতাব্দীর ৮০ এর দশকে ৮-দল, ৭-দল ও ৫-দলের সঙ্গে জামায়াত যুগপৎভাবে রাজপথে সামরিক স্বৈরাচারের বিরদ্ধে সংগ্রাম করেছে। দলটির এসকল অসামান্য অবদান ৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্র্রামে তার ভুল রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে স্বীকৃতি পায়নি। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা পরবর্তীকালে জামায়াতের সকল সাফল্য ও অর্জন ম্লান করে দিয়েছে। এসব কারণে আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি এবং এখনও করি যে, ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে নেতিবাচক ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া শুধু নৈতিক দায়িত্বই নয় বরং তৎপরবর্তী প্রজন্মকে দায়মুক্ত করার জন্য অত্যন্ত জরুরী কর্তব্য।

শুক্রবার দুপুরে লন্ডন থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে বলেন, ‘জামায়াত থেকে পদত্যাগ করে নতুন কোনও সংগঠনে যুক্ত হওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই।’ তার পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদকের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশ্ন ছিল, এমন সময়ে ইস্তফা দিয়েছেন, যে সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যরা দলের নাম পরিবর্তন ও নতুন নামে ভিন্ন আঙ্গিকে নতুন সংগঠন তৈরির সম্মতি জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আপনার পদত্যাগ কী সেই নতুন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার পূর্বলক্ষণ? জবাবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘জামায়াত কী করবে কী করবে না, সেটা আমি বলতে পারবো না। পদত্যাগপত্রে বলেছি আমি আমার পেশায় যুক্ত থাকবো। নতুন কোনও সংগঠনে যুক্ত হচ্ছি না।’

আপনার পদত্যাগের পর জামায়াতের প্রতিক্রিয়া জেনেছেন কি? উত্তরে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি জামায়াতে ইসলামীতে ছিলাম। আজকে পদত্যাগপত্র দলের আমির মকবুল আহমাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমি নিজে ফোনে কথা বলেছি তার সঙ্গে, দলের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সাহেবকে জানিয়েছি। আমরা বন্ধু ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে আশা করি।’

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তিনি আব্দুর রাজ্জাকের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘তার পদত্যাগে আমরা ব্যথিত ও মর্মাহত। পদত্যাগ করা যেকোনও সদস্যের স্বীকৃত অধিকার। আমরা দোয়া করি তিনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমরা আশা করি তার সঙ্গে আমাদের মহব্বতের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’

ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের কাছে শেষ প্রশ্ন ছিল, আপনি কী সহসা দেশে ফিরছেন? তিনি বললেন, ‘লন্ডনে আমি ভালো আছি। লন্ডনেই আপাতত প্র্যাক্টিস করছি।’

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ভূমিকা পালনের জন্য জামায়াতে ইসলামী থেকে কোনও নেতার সরাসরি পদত্যাগের ঘটনা এই প্রথম। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক তার পদত্যাগপত্রে জানিয়েছেন তিনি কয়েক দফায় জামায়াতকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন। ২০০১ সাল থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি তার পরামর্শ অব্যাহত রাখেন। এরমধ্যে ২০০৭-০৮ সালে, ২০১১ সালে সর্বশেষ শুরার বৈঠকে, ২০১৬ সালের মার্চে, নভেম্বরে তিনি আমিরের কাছে লিখিতভাবে প্রস্তাব করেন।

জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকে বলছেন, জামায়াতে সংস্কারের প্রস্তাব তুলে কোনও নেতাই দলে থাকতে পারেননি। তবে এবার ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগ বড় ঘটনা। দলের অনেকেই এটাকে পরবর্তী নতুন সংগঠনের কৌশল হিসেবে দেখছেন। যদিও বিগত দিনে যারাই জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা প্রসঙ্গে বা সংস্কার চেয়ে কথা বলেছেন, তাদের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

১৯৮২ সালে জামায়াতের অনুজ সংগঠন ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক আহমদ আবদুল কাদের। তার ভাষ্যে, ‘জামায়াতের ৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে রিভিউ করেছিলাম। রিভিউ বলতে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা। সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিলাম। তার ধারণা জামায়াত ভুল করেছে। জামায়াত নাম-ই থাকা উচিত ছিল না।’

ওই সময়ে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন ফরীদ আহমদ রেজা। বর্তমানে তিনি লন্ডনে প্রবাস জীবনযাপন করছেন। ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ তিনি বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এবং আলেম সমাজের বিরোধিতাকেও বিবেচনায় নিতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আছে বলে মনে করার কোনও কারণ দৃশ্যমান নয়।’

২০১৬ সালে জামায়াতে সংস্কারের প্রস্তাব এনেছিলেন প্রয়াত নেতা, রাজশাহী মহানগর আমির আতাউর রহমান। তিনি জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের শ্বশুর। ওই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারী আতাউর রহমানকে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমিরের পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত প্রকাশ হয় দলে। ওই সময় দলের গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়। জামায়াতের নেতাকর্মীরা বলছেন, আতাউর রহমানও মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান ২০১০ সালে কারাগার থেকে নতুন কৌশল প্রণয়নের জন্য চিঠি দিলেও তা আমলে নেয়নি জামায়াতের নেতৃত্ব।

শিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু সংস্কার প্রশ্নে তার ফসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে জামায়াতের আক্রশের শিকার হয়েছেন। শুক্রুবার দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকি তার রুকনিয়াত বাতিল করা হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহি বোর্ডের এক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি স্ট্যাটাসের এক পর্যায়ে বলেছেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত অংশ নেয়নি বরং বিরোধিতা করেছে। এই বিরোধিতা করে জামায়াত কী সঠিক করেছে? না ভুল করেছে? দলীয়ভাবে এ বিষয়টি তারা এখনো সুরাহা করতে পারেননি। ভুল শুদ্ধের সুরাহা না করেই জামায়াত বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতায় বিভিন্ন কথা বলেছে। মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান’ হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাদের বিবেচনায় শেখ মুজিব ছিলেন ‘ষড়যন্ত্রকারী’ ‘দেশদ্রোহী এবং মুক্তিযাদ্ধারা ছিলেন ‘ভারতের দালাল’। একই নেতৃবৃন্দের কাছে আমরা কখনো শুনি “মুক্তিযুদ্ধকালীন আমাদের ভূমিকা ছিল আবেগ নির্ভর ও বাস্তবতা বিবর্জিত” আবার কখনো তাঁরা বলেন- “৭১-এ আমরা যে ভূমিকা নিয়েছিলাম তা যে সঠিক ছিল তা এখন জাতি বুঝতে পারছে”! মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে আমাদের মুরব্বীদের মুখ থেকে দুই ধরনের পাঠ পাওয়াটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এতে বোঝা যায় তাঁরা পরিস্থিতি বুঝে একবার একরকম বলছেন। দলের সুস্পষ্ট কোনো স্ট্যান্ড নেই।

দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মীরা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও মঞ্জুর মতের সাথে অনেকটা মিল খুজে পাচ্ছে।

Check Also

ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি

পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।