নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে জোরপূর্বক স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা সদর হাপতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ালী গ্রামে। এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় ৪জনের নামে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ৬বছর পূর্বে উপজেলার বড়ালী গ্রামের মৃত ওজিয়ার সরদারের কন্যা সুফিয়া খাতুনের সাথে একই গ্রামের নেছার আলীর ছেলে নাজমুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের উপর চলে নির্যাতন। এমনকি তার প্রথম সন্তান নষ্ট করে দেয়া হয়। তার পিতার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্বামীর নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলো সে। এরই মধ্যে সুফিয়া খাতুন দ্বিতীয়বার অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়লে তাকে তার স্বামী নাজমুল ইসলাম ১৯ ফেব্রæয়রী মঙ্গলবার দুপুরের খাবারের সাথে জোরপূর্বক সন্তান নষ্ট করার ঔষধ খাইয়ে দেয়। পরে সুফিয়া খাতুনের পেটে যন্ত্রনা শুরু হলে স্বামী নাজমুল ইসলাম স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে ধরে নিয়ে বাথরুমে আটকে রাখে। সেখানে সুফিয়া খাতুনের রক্ত ঝরতে (বøাড ভাঙতে) থাকে। একপর্যায়ে তার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে সে সাতক্ষীরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Check Also
সাতক্ষীরায় ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ গ্যালন ফরমালিন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। তবে এসময় …