ভারত থেকে আবু সাইদ বিশ্বাস : জম্মু-কাশ্মিরে জরুরি ভিত্তিতে ১০০ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস (সিএপিএফ)কে এ নির্দেশ দেয়া হয়। কি কারণে এমন নির্দেশ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয় নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করে। তাতে বলা হয়, জরুরি ভিত্তিতে আমাদেরকে জম্মু ও কাশ্মিরে অতিরিক্ত সিএপিএফ মোতায়েন করতে হবে। সরকারকে সিএপিএফের ১০০ কোম্পানি এ জন্য সরবরাহ করার জন্য বলা হচ্ছে। এ নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে। সব বাহিনীর আইজির সঙ্গে সমন্বয় রেখে অবিলম্বে ফোর্স মোতয়েন করতে অনুরোধ করা হলো আইজি, সিআরপিএফকে।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জামায়াতে ইসলামীর বেশ কিছু নেতাকে আটক করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মির থেকে। তারপরই এই নির্দেশ এলো। শুক্রবার রাতে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা জামায়াতে ইসলামীর কয়েক ডজন নেতাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করে জম্মু-কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের প্রধান ইয়াসিন মালিককে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের আমির ড. আবদুল হামিদ ফয়েজ, এডভোকেট জাহিদ আলী (মুখপাত্র), গোলাম কাদির লোনি (সাবেক সাধারণ সম্পাদক), আবদুর রউফ (আমির জিলা ইসলামাবাদ), মুদাসির আহমেদ (আমির তেহসিল পাহালগাম), আবদুল সালাম (ডায়ালগাম), বক্তাওয়ার আহমেদ (ডায়ালগাম), মোহাম্মদ হায়াত (ট্রাল), বিলাল আহমেদ (চাদুরা), গোলাম মোহাম্মদ দার (চাক সাঙ্গরান) প্রমুখ। জামায়াতের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয় অনন্তনাগ, পাহালগা, ডায়ালগাম, ট্রাল সহ দক্ষিণ কাশ্মিরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। পুলিশ বলেছে, সুপ্রিম কোর্টে অনুচ্ছেদ ৩৫এ শুনানি নিয়ে তারা গণবিক্ষোভ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, ২২ ও ২৩ শে ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ গণহারে তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। এ জন্য তারা নিন্দা প্রকাশ করেছে। এতে আরো বলা হয়, এই গ্রেপ্তারের ফলে ওই অঞ্চলে অনিশ্চয়তার পথ তৈরি করবে। এমন গ্রেপ্তারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।