ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৪১ জনের মৃত্যু

ভারত ফিরে আবু সাইদ বিশ্বাস :  ভারতের আসামে বিষাক্ত মদ পানে ৪১ জন চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো বেশ ক’জন। এদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

অ্যালকোহল পানে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ১০০ জনের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ না যেতেই আবারো এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।

আসামের বাণিজ্যিক রাজধানী গোয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে একটি চা বাগানের এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৭ জন নারী রয়েছেন।

আসামের বিদ্যুৎ মন্ত্রী তপন গগৈ টেলিফোনে রয়টার্সকে ৪১ জন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

আসামের ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কয়েকজন এমপি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ১০০ জন শ্রমিক। নিহতরা ছাড়া আরো ৪৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর।

গোলাহাটের একটি সরকারি হাসপাতালের ড. দিলিপ রাজবংশী জানান, ভেজাল দেশীয় মদ পানে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

অবৈধভাবে উৎপাদিত ‘হুক’ বলে পরিচিত দেশীয় মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ভারতে একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজ্য পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পার্থ প্রতিম সাইকিয়ার বরাত দিয়ে দিল্লিভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল নিউজএইটটিন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটের শালমিরা চা বাগানে মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। পরে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হলে একে একে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এই প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ৬৬ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শালমিরা চা-বাগানের কাছেই জুগিবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি দেশীয় মদ কারখানার মালিকসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় গ্লাসপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকায় অবৈধ দেশীয় মদ পাওয়া যায়।

এর আগেও বিষাক্ত মদ খেয়ে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে নিহত হয়েছিলেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ। তার দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারো আসাম রাজ্যে ঘটলো এ ঘটনা।

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।