ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট : নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ। তিনি অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদপত্র দিয়ে পুলিশ বিভাগে পদোন্নতি নিয়েছেন। সেই অষ্টম শ্রেণী পাস ওসি দিচ্ছেন এসএসসি পরীক্ষা। চলতি বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জলঢাকার আলহাজ্ব মোবারক হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। সরজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় ওই কেন্দ্রের ১নং কক্ষে বসে পরীক্ষা দেন তিনি। জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০শে মে তিনি ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি ডিমলা থানায় কর্মরত।
মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, তিনি ৮ম শ্রেণির সনদপত্র দিয়ে কনস্টেবল পদে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন।
পরে পদোন্নতি নিয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হন। উন্মুক্ত বিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৭ সালে জলঢাকার আলহাজ্ব মোবারক হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। যার রোল নং-৭। ২০১৮ সালের প্রথম সেমিস্টারের ও চলতি বছরের ২২শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিস্টারের বাংলা দ্বিতীয়পত্র বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন মফিজ উদ্দিন শেখ।
যার পরীক্ষার রোল নং-১৭-০-১০-২৪৮-০০৭। প্রবেশপত্রে পরীক্ষার্থীর নাম মফিজ উদ্দিন শেখ, পিতা- রজব আলী শেখ ও মায়ের নাম রয়েছে নুরুন্নেছা বেগম। এ বিষয়ে জলঢাকা আলহাজ্ব মোবারক হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সালে তিনি (মফিজ উদ্দিন শেখ) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২টি সেমিস্টারের পরীক্ষায় এবার পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে ওই কেন্দ্রে ওসি মফিজ উদ্দিনসহ দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৯৫ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন মফিজ উদ্দিন শেখ। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে।
ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। আমি আমার আগের শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে পদোন্নতি পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েছি। এরপরও ব্যক্তিগত ইচ্ছায় বর্তমান সময়ের পড়ালেখার অভিজ্ঞতা নিতে আবারও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি। এতে দোষের কি? তিনি আরও বলেন, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছি