ক্রাইসবার্তা ডেস্করিপোটঃ কাশ্মিরের পুলওলামায় আত্মঘাতী হামলার জবাবে পাকিস্তানে বড় ধরনের হামলা চালানো দাবি করেছে ভারত। দেশটির বিমানবাহিনীর সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে, হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, ওই হামলায় পাকিস্তানের দুইশ থেকে তিনশ বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।
এর আগে ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছিল, রাত সাড়ে ৩টায় ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানে অবস্থিত বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার সাহায্যে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি অনুসারে পূর্বপরিকল্পিত এ অভিযানে বালাকোট সেক্টর থেকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো। এর পর তারা বোমা ফেলে বালাকোট, চাকোটি এবং মুজাফরাবাদে জয়েশ-ই-মোহম্মদের তিনটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে এবং জয়েশের কন্ট্রোল রুম আলফা-৩ গুঁড়িয়ে দেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনী দাবি করে, কাশ্মিরে ভারতের এ হামলা প্রায় ২১ মিনিট ধরে চালানো হয়। এ হামলায় ইসরাইলি প্রযুক্তিতে তৈরি লেজার গাইডেড বোমা ব্যবহার করা হয়। কারগিল যুদ্ধে প্রথমবারের মতো এ বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল।
কিন্তু এ ব্যাপারে পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছিল ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো। কিন্তু, পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো ফিরে যায়। তিনি জানিয়েছেন, মুজাফরাবাদ থেকে ভারতীয় বিমানগুলো প্রবেশ করেছিল। তবে সেগুলো বিশেষ কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের এই হামলাকে সার্জিক্যাল হামলা ২ নামে ডাকা হচ্ছে।
কাশ্মিরে পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে বিদ্রোহীদের একটি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। অবশ্য পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের বিমানবাহিনীর তাড়া খেয়ে কোনো কিছু করার আগেই নিজ আকাশসীমায় ফিরে যায় সেগুলো।
ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতের গণমাধ্যমগুলো মঙ্গলবার জানায়, রাত সাড়ে ৩টায় ১২টি মিরেজ ২০০০ যুদ্ধবিমান পাকিস্তানে অবস্থিত বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার সাহায্যে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করে।
ভারত দাবি করছে, পূর্বপরিকল্পনা অনুসারেই এ অভিযান চালানো হয়। বালাকোট সেক্টর থেকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো। এর পর তারা বোমা ফেলে বালাকোট, চাকোটি এবং মুজাফরাবাদে জয়েশ-ই-মোহম্মদের তিনটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে। গুঁড়িয়ে দেয়য় জয়েশের কন্ট্রোল রুম আলফা-৩।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদীকে এই সেনা অভিযান নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন।
এদিকে এ অভিযান প্রসঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছে ভারতীয় যুদ্ধবিমান। কিন্তু তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো ফিরে যায়। তিনি জানিয়েছেন, মুজাফরাবাদ থেকে ভারতীয় বিমানগুলো প্রবেশ করেছিল। তবে সেগুলো বিশেষ কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি।