ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ নিজস্ব আকাশসীমায় দুই ভারতীয় বিমান ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বিবৃতিতে এ দাবি করেছেন। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার সকালে কমপক্ষে তিন পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশসীমায় প্রবেশ করে। এসময় ভারতীয় যুদ্ধবিমান তারা করলে সেগুলো পাকিস্তানে ফিরে যায়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর টুইটারে বলেন, লাইন অব কন্ট্রোল পেরিয়ে পাকিস্তানি আকাশসীমায় প্রবেশ করলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি বিমানকে ধ্বংস করে পাকিস্তান বিমানবাহিনী।
এর মধ্যে একটি ভারতশাসিত কাশ্মীরে ও অপরটি পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখান থেকে দুই ভারতীয় পাইলটকে আটক করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
এদিকে ভারতের একটি বিমান বিধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে কাশ্মীর থেকে।
সেখানে নিহত হয়েছেন ২ পাইলটসহ ৩ জন। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি এখনো। ভারত দাবি করেছে, পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ ফাইটার জেট ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল গফুর এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আজকের আক্রমণে কোনো এফ-১৬ বিমান ব্যবহার করা হয়নি।
ভারতীয় হামলা প্রতিহত করা হয়েছে : জেনারেল গফুর
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইটে বলেছেন, আজাদ কাশ্মিরে ভারতীয় হামলা প্রতিহত করেছে ইসলামাবাদ। ভারতীয় জঙ্গিবিমানগুলো খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটের কাছে বোমা বর্ষণ করে। জবাবে পাকিস্তানি বিমানবাহিনী তাদের ধাওয়া করে হটিয়ে দেয়।
সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ ইমরানের : ভারতের বিমান হামলার পর সম্ভাব্য সব ধরনের পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে সেনাবাহিনী ও দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জরুরি বৈঠক করেন ইমরান খান। বৈঠকে আজাদ কাশ্মিরে ভারতীয় হামলাকে চূড়ান্ত আগ্রাসন বলে মন্তব্য করা হয়। পরে ইমরান খান বলেন, সঠিক সময়ে এবং সঠিক জায়গায় উপযুক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে ইমরান খান সশস্ত্রবাহিনী ও দেশের মানুষকে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে ‘ভারতের দায়িত্বহীন নীতি’কে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির ওই বৈঠক হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থমন্ত্রী, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বালাকোটের কাছে সন্ত্রাসীদের ঘঁাঁটিতে হামলার যে দাবি ভারত করছে, তা কড়াভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। একই সাথে যে ক্ষয়ক্ষতির দাবি করছে তা-ও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।
https://youtu.be/D4_x-gwBpeY