দৈনিক যুগান্তর সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে পত্রিকায় ‘মাঠ প্রশাসনে পিএমও’র বার্তা- রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নয়’ শিরোনামে রোববার প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে বক্তব্য দিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন।
জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম কর্তৃক গৃহীত নানা কর্মসূচির বিষয়ে নিু স্বাক্ষরকারীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের মোবাইল ফোনে কথা হয়। ওই আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো ১০ দফা নির্দেশনা সংবলিত কথিত পত্রের বিষয়ে কোনোরূপ আলোচনা হয়নি।
ফলে প্রশাসনিক কাজে মন্ত্রী-এমপি বা রাজনৈতিক নেতা হস্তক্ষেপ করবেন না, হস্তক্ষেপের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক টেলিফোনে বা লিখিত আকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করা হবে মর্মে নিু স্বাক্ষরকারীকে উদ্ধৃত করে বর্ণিত প্রতিবেদনে প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়।
কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ফেসবুকে ওই নির্দেশনা প্রচার করা হচ্ছে মর্মে যা উল্লেখ করা হয়েছে সে প্রসঙ্গে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ায় কথিত পত্রের বরাতে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ কার্যালয়ের একজন নবীন সহকারী কমিশনার ওই প্রতিবেদনের উৎসের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে জেলা প্রশাসনের পেজে সেটি শেয়ার করেন।
জেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রতিবেদনে প্রকাশিত কথিত নির্দেশনা সংবলিত কোনো পত্র পায়নি। জনমনে বিভ্রান্তি এড়ানোর লক্ষ্যে এতদবিষয়ে প্রদত্ত ব্যাখ্যাটি পত্রিকার উপযুক্ত স্থানে প্রকাশের অনুরোধ জানানো হল।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : গত ২৬ ফেব্রুয়ারি, জেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রামের নিজস্ব ফেসবুক পেজে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ নির্দেশনা’ শিরোনামের পোস্ট থেকে সংবাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে যা প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ আছে।