বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না সরকার। তিনি অভিযোগ করেন, যেখানে প্রত্যেক সাধারণ নাগরিকেরই অধিকার রয়েছে সুচিকিৎসা পাওয়ার, সেখানে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন না। এটা অন্যায় ও অমানবিক। চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়ভার সরকারের উপরেই বর্তাবে বলেও তিনি সতর্ক করে দেন।
বেগম জিয়ার চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য তিনি সরকারের কাছে জোর দাবি করেন।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
মানববন্ধনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীর মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। হাতে প্লেকার্ড ও ব্যানার নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন তারা। এক পর্যায়ে মানববন্ধন রূপ নেয় সমাবেশের।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, খায়রুল কবির খোকন, আমানুল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজ তার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। অথচ সরকার কথায় কথায় সংবিধানের কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি নীল নকশার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকার অন্যায় ও অবৈধ সরকার। তারা অন্যায়ভাবে অন্যের অধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী দিনে জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে এই সরকারকে চির বিদায় করতে হবে।