ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে বিএনপির করণীয় সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার তথ্য কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, ‘বিএনপির উচিত হবে অবিলম্বে জামায়াতকে ছেড়ে দেয়া।’
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তথ্য অধিকার আইনের ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে প্রত্নতত্ত্ব ভবনে। তথ্যমন্ত্রী ওই কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মত একটি রাজনৈতিক দল যখন জামায়াতের আশ্রয়দাতা প্রশ্রয়দাতা হয়, তাদের জোটের মধ্যে যখন জামায়াত থাকে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়, প্রতিবন্ধকতা তৈরী হচ্ছে। আমি আশা করব বিএনপি ইউএস কংগ্রেসের এ প্রস্তাবের পর তারা জামায়াতের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে এ ঘোষণা দেবে।’
হাছান মাহমুদ জানান, টেলিভিশন সাংবাদিকতার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে তিনি প্রথমদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজবন্দী নন, তিনি সাজা প্রাপ্ত আসামী, জেলহাজতে তাকে নজিরবিহীন সুযোগ সুবিধা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা সরকার করেছে।’
আরো পড়ুন : খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বিএনপি নেতারা
দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি নেতারা। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয়জন শীর্ষ নেতা আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস ও আবদুল মঈন খান।
বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য এর আগেও একাধিকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছে বিএনপির একাধিক প্রতিনিধিদল।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো: আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। ওই দিন থেকেই পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিত্যক্ত ভবনে একমাত্র বন্দী তিনি। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে তার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছে। তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এসব কর্মসূচির মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি, গণস্বাক্ষর, স্মারকলিপি প্রদান, কালো পতাকা প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ, জনসভা, আলোচনা সভা এবং প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সর্বশেষ গত রোববার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে এসে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। খুবই অসুস্থ আমি। চিকিৎসকরা দরকারি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না। মাত্র একবার এসে চিকিৎসকরা দেখে গেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রক্ত নেয়া হয়নি। ডায়াবেটিসের রোগী হিসেবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। থেরাপি ঠিকমতো দেয়া হচ্ছে না। আমি সত্যিই অসুস্থ।’ তার স্বাস্থ্যের চরম ক্রমাবনতিতে উদ্বিগ্ন বিএনপি।