ফিরোজ জোয়ার্দ্দার :: কলারোয়ায় কামারালী বাজারে নৌকার পোষ্টার টাঙ্গাতে গিয়ে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী যুগিখালী গ্রামের মৃত জালাল মোড়লের ছেলে এরশাদ আলী মেম্বরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নৌকার ৩ কর্মীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিয়ে ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি শনিবার (৯ই মার্চ) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের কামরালী বাজারে ঘটে। এতে নৌকার ৩ কর্মী আহত হয়।
আহতরা হলেন যুগিখালী গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আক্তারুজ্জামান (২৪) ও তার ভাই শরিফুল ইসলাম (২১) এবং মইদুল ইসলামের ছেলে আল মাসুদ (২০)। খবর পেয়ে রাতেই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থ পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের বরাত দিয়ে জানা যায়, শনিবার রাত ১০ টার দিকে তিনিসহ আহতরা উপজেলা নির্বাচনে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের নৌকার পোস্টার টাঙ্গানো সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর আনারস প্রতিকের সমর্থক হত্যা প্রচেষ্টা
মামলার এজাহারভুক্ত আসামী এরশাদ আলী মেম্বরের নেতৃত্বে শাহাজান, মফিজুল গাজী, আব্দুল ওহাব জনি, হিরা মাস্টার, কামরুল ও ওহিদুজ্জামান পিন্টুসহ অঙ্গত কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা আহতদের মাথায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। আহতদের মধ্য দুজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ার তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
হামলাকারীদের মদদদাতা বিদ্রোহী প্রার্থী লাল্টুর নেতৃত্বে রাতেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে নিয়ে আরো কিছু সন্ত্রাসীরা কয়েকটি মটরসাইকেল বহর নিয়ে কলারোয়া থেকে তার বামনখালী বাজারে এসে তারসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুুতি চলছিল বলে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান জানান।