ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জে কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ, আনসারসহ ৬ জন।
আজ সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বেলা ১১টার দিকে বানিয়াচং উপজেলার শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা প্রদান করলে দুর্র্বৃত্তদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এতে শাহপুর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার প্রভাষক জাহির আলম, পুলিশ কনস্টেবল জামাল উদ্দিন, আনসার সদস্য আবদুল মালেকসহ ৬ জন আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে ওই কেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন খন্দকার। পরে কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়।
এদিকে গুরুতর আহত কনস্টেবল জামাল উদ্দিনকে হেলিকপ্টারযোগে দুপুরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একই সময় ইকরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ কেন্দ্রে সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
অপরদিকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা খন্দকার জানান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাই এ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
চুনরারুঘাট উপজেলায় কয়েকটি কেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হন চনু মিয়া, ফুল মিয়া, কদ্দুছ মিয়াসহ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু তাহেরের ৪ সমর্থক।
উল্লেখ্য, আজ হবিগঞ্জের ৮ উপজেলায় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্ধন্দ্বীতা করছেন। উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও ৪ উপজেলায় বিএনপির ৪ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে ৮ উপজেলায় ৮ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। এখানে ভোটার রয়েছেন ১৩ লাখ ৮১ হাজার। ৬১৭টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৫ জন পুলিশ, ৭ হাজার ৪শ’ ৪ জন আনসার, ৩শ’ ৬০ জন বিজিবি ও ১শ’ ২৮ জন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।