ফিরোজ জোয়ার্দ্দার: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উৎসব মুখর পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার- প্রচারণা শুরু হয়েছে। ২৪ শে মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষনার পর প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। কলারোয়া উপজেলাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়।
এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনসহ প্যানেলের প্রার্থীরাও। যদিও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই অন্যন্য প্রার্থীরা। এই উপজেলায় আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে মাঠ চসে বেড়াচ্ছে কলারোয়া ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
ও তার সাথে প্যানেলে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতিক নিয়ে বর্তমান মহিলা ভাইস সেলিনা আনোয়ার ময়না। সৎ, যোগ্য, নিষ্ঠাবান, গরীবের বন্ধু জরদরদী ও ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে নবীন-তরুন ভোটারদের মন জয় করে উপজেলা এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ভোটারদের কাছে আশার বানী শুনিয়ে নিজ প্রতিকে ভোট দেয়ার আহবান করেন। সেই সাথে থেমে নেই নির্বাচনী প্রাচারের কাজে মাইক, পোষ্টার- ফেস্টুন ভরা প্রচারণা। চোখে পড়ার মত পোষ্টার-ফেস্টুন ছেয়ে গেছে ওয়ার্ডের অলিতে-গলিতে।
জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউনিয়নগুলো হলো জয়নগর, জালালাবাদ, কয়লা, লাঙ্গলঝাড়া, কেড়াগাছি, সোনাবাড়ীয়া, চন্দনপুর, কেরালকাতা, হেলাতলা, কুশোডাঙ্গা, দেয়াড়া ও যুগিখালী এবং একটি পৌরসভা। এসব ইউনিয়নে রয়েছে মোট ১৩২টি গ্রাম ও ৭৮ টি কেন্দ্র। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটার অনেক বেশী।
এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয় সম্পাদক বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছিলেন রাজপথের লড়াকু সৈনিক ও আপোষহীন নেতা।
ছাত্র জীবন থেকে এ যাবদকাল পর্যন্ত সুখে দুখে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তিনি নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন সবার শীর্ষে। তার রয়েছে এলাকাব্যাপী ব্যাপক পরিচিতি আর জনপ্রিয়তা। আছে স্বচ্ছতা ও বিচক্ষণতা। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ্য বুকে ধারণ করে দলের দূর্দিনে রাজপথে থেকে দলকে সু-সংগঠিত রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সর্বদা অনুগত থেকে দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এলাকার মানুষের মনিকুঠায় অবস্থান করছেন তিনি।
তবে বসে নেই উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক আনারস প্রতিকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টু। তিনি দলের মনোনয়ন না পেয়ে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার- প্রচারণা। চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকে আমিনুল ইসলাম লাল্টু, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতিক যুবলীগ নেতা কাজী আসাদুজ্জামান সাহাজাদা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতিক নিয়ে শাহনাজ নাজনীন খুকু। তারা বিরামহীন ভাবে উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ভোটারদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কলারোয়া পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুলসহ ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভাপতি/ সম্পাদকের বরাদ দিয়ে জানা গেছে, একজন জননেতা যেমন হওয়া উচিৎ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন ও সেলিনা আনোয়ার ময়না তেমনই। তারা স্বচ্চ ও বিচক্ষণ ব্যক্তি। তাছাড়া তারা সে দলের ত্যাগী নেতা এটা বলার অবকাশ নেই। আমরা দলের নিবেদিত প্রাণ ওই ব্যক্তিদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আবারও দেখতে চাই কলারোয়াবাসী। আসা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকার মাঝি করে কোন ভুল করেন নি। উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপনসহ ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ার ময়নাকে ভোট দিয়ে ভোটাররা নির্বাচিত করবেন বলে আশা।
কলারোয়া বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছরে এই এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করছি, ব্যক্তি আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেনকে জেনেছি। দল মতের উদ্ধে ব্যক্তি হিসেবে সবাই তাকে ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। কোন দোকানদারকে বাজারে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে বা কোন দোকানদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে এমন কথা আজ পর্যন্ত শুনেনি বা দেখেনি। এসব সম্ভব হয়েছে আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেনের জন্য। তাই সবাই একত্রতা ঘোষনা করে ২৪ তারিখে উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতিকসহ প্যানেলকে ভোট দেয়ার আহবান করেন।
উপজেলা ও পৌরসভার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভোটাররা বলেন, তারা জন্মগত ভাবে আওয়ামীলীগের পরিবারের সক্রিয় সদস্য। যে সকল সচেতন মানুষ আওয়ামীলীগ করেন তারা শেখ হাসিনার প্রতিক নৌকাকে ভোট দেবেন। সেজন্য শেখ হাসিনা ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনকে নৌকার মাঝি হিসেবে আমাদের মাঝে দাঁড় করিয়েছেন। তাই আমরা দলমত নির্বিশেষে নৌকার প্যানেলকেই ভোট দিবো। কোন দালাল- বাটপারদের উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই না। কারণ অতীতে জনগণ জানে কারা দলের জন্য ক্ষতিকর কাজ করে চলেছিল। তারা যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে উপজেলা বেচে-কিনে খাবে। কোন অন্যায় কাজ করতে দ্বিধা করবেন না।
এ উপজেলায় দলমত নির্বিশেষে যার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছে, সবাই এক বাক্যে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপনের প্যানেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। স্থানীয়দের বিবেচনায় কলারোয়া উপজেলায় জনপ্রিয়তায় সবচেয়ে এগিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার মাঝি ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, আলহাজ্জ্ব আরাফাত হোসেন এবং সেলিনা আনোয়ার ময়না।ল