ডাকসু নির্বাচনে কতারচুপি করেও হারানো যায়নি কোট সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থী সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরকে। নিজের ফেসবুক ওয়ালে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, যেখানে কারচুপির সুযোগ ছিলো না সেখানে পুরো প্যানেলেই পরাজিত হয়েছে ছাত্রলীগ। উদাহরণ হিসেবে তিনি কুয়েত-মৈত্রী হলের কথতা উল্লেখ করেছেন।
ড. আসিফ নজরুলের পুরো স্ট্যাটাসটি তুলে দেয়া হলো-
‘কুয়েত মৈত্রী হলের নির্বাচনের ফলাফল ভালো করে লক্ষ্য করুন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ব্যালট ভরা বাক্স উদ্ধারের পর ছাত্রীদের তুমুল প্রতিবাদে ফেটে পড়লে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দিতে হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপির কোন সুযোগ ছিল না সেখানে। ফলাফল? ১৩টির সব আসনে পরাজিত ছাত্রলীগ।
নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে ডাকসু ও বাকি সব হলের ফলাফল হয়তো তাই হতো। ডাকসুতে শুধু নূর আর আখতার না, জিততো কোটা আন্দালনের আরো অনেকে। বিভিন্ন আলামত দেখে এটা মনে হয় যে, কোটার অনেককে কারচুপি করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু নূর আর আখতারের সঙ্গে প্রতিদ্ধন্ধীর ব্যবধান এতো বিশাল ছিল যে কারচুপি করেও তাদের হারনো যায়নি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে নূরের কি ডাকসু ভিপি পদ গ্রহণ করা উচিত? আমার মতে, কোটা আন্দোলনের নেতারা সবাই যদি রাজি থাকে তাহলে তার ডাকসু ভিপির পদ গ্রহণ করা উচিত। ডাকসু ভিপি হিসেবেই হয়তো ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে আরো বেগবান করা সম্ভব। তবে নূরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোটা আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে। বাম বা ছাত্রদলের মতামত এখানে গুরুত্বপূর্ণ হতো যদি তারা কোটার নেতাদের সঙ্গে একসাথে নির্বাচন করতো। তারা এটি করেনি।
নূরের মধ্যে আমি দেখি তরুন বয়েসের বঙ্গবন্ধুর ছায়া। সাধারন ছাত্রদের নির্যাতনকারীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু কোনভাবেই নেই।’ko