সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে বিজিবি-বিএসএফ এর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় ভোমরা স্থল বন্দর কাষ্টমস হাউস সম্মেলন কক্ষে উক্ত পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকটি শেষ হয় বিকাল ৪ টায়।
চার ঘন্টার এই পতাকা বৈঠকে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্তে গুলি বর্ষনে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজিবি জানায়, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের ২৬ সদস্য দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার মোঃ আরশাদুজ্জামান খান। এ সময় তার সাথে আরো ছিলেন, খুলনা বিজিবি (পিবিজিএমএস) ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার, সাতক্ষীরা নীলডুমুর ১৭ ব্যাটেলিয়নের অধিনায় লেঃ কর্ণেল
মোহাম্মদ মোস্তফা আসাদ ইকবাল, যশোর বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সেলিম রেজা ও রিভাইন বর্ডারগার্ড কোম্পানীর অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার এম মিল্টন কবির এবং বিএসএফ এর ১২ সদস্যের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ’র কোলকাতা সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি শ্রী রাজিবা রঞ্জন শর্মা।
এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ষ্টাফ অফিসার (এডমিন) শ্রী তারনী কুমার তিউ, কমান্ডিং অফিসার শ্রী মনোজ কুমার বানোয়াল, কমান্ডিং অফিসার জেএস সান্ধু, কমান্ডিং অফিসার শ্রী অরুন কুমার, কমান্ডিং অফিসার শ্রী সুরেন্দ্র শিং, কমান্ডিং অফিসার শ্রী রবি ভূষন, কমান্ডিং অফিসার শ্রী বিজয় ডিমরি প্রমুখ।
বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, আলোচনায় ভারতীয় মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে পাচারে সরকারের জিরো টলােেরন্স নীতি পূনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
এ জন্য বিএসএফকে আরও কড়া অবস্থান নিতে হবে। এ ছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশরোধ, অবৈধ অস্ত্র পাচার এবং নারী ও শিশু পাচার রোধে দুই পক্ষই একমত পোষন করেছে।
ভারতীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চোরাচালানিরা প্রায়ই বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা করে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফ আরও সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ন পরিবেশে চারঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সমন্বয় বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তের অপরাধ দমনে নিজ নিজ ভূখন্ডে অবস্থান করে এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলেও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
দীর্ঘ সময়ের এ পতাকা বৈঠকে সীমান্তে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য অপরাধ দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) একযোগে কাজ করবে বলে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।