ক্রাইমর্বাতা রিপাট: ঢাকা: আগামী তিনদিনের মধ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বাতিল চেয়েছে আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ ছাড়া অপর ৫ প্যানেল। তারা বলছেন, শনিবারের মধ্যেই সদ্য অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন বাতিল করার পাশাপাশি পুন:তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে প্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনকে বাতিল করতে হবে এবং তিন দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের পুন:তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে বাদ দিয়ে সৎ ও নিরপেক্ষ শিক্ষকদের নির্বাচনের দায়িত্ব দিতে হবে। দাবি না মানলে আগামী রোববার থেকে ক্যাম্পাসে কঠোর কর্মসূচি দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন।
পরে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন পাঁচ প্যানেলের প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন লিটন নন্দী, উম্মে হাবিবা বেনজীর, অরণি সেমন্তি খানসহ শতাধিক শিক্ষার্থী। বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাবি ভিসি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
শপথের সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষার্থীরা, জানালেন নুর
ডাকসুর ভিপি হিসেবে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত নুরুল হক নুর। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে সাংবাদিকদের কাছে নিজের অবস্থান পরিস্কার করে একথা জানান নতুন ভিপি।
নুর বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাকে নির্বাচিত করেছে। তারা যদি আমাকে শপথ নিতে বলে তাহলে আমি নেব। তারা যদি না নিতে বলে, তাহলে নেব না। তবে শিক্ষার্থীরা পুন:নির্বাচনের জন্য যে আন্দোলন করছে আমি তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মমা ঘোষণা করেছি।
শিক্ষার্থীরা কোন প্রক্রিয়ায় তাদের মতামত জানাবে সাংবাদিকদের এমন জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বলেন, দু’দিন পরেই তা পরিস্কার হয়ে যাবে।
গত সোমবার ডাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জয় পান কোটা আন্দোলনের নেতা ও ছাত্র অধিকার রক্ষা পরিষদ প্যানেলের প্রার্থী নুরুল হক নুর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
যদিও নির্বাচনে কারচুপি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে দিনভর সরব ছিলেন ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য সব প্যানেলের সদস্যরা। এই নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন উল্লেখ করে পুনঃনির্বাচনের দাবিও জানান তারা।