মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার সরাপপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক হুমায়ুন কবির। তিনি ফিংড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। এ সময় তার সাথে চিলেন এলাকার মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য আলমগীর কবির, মো. নাসরুল্লাহ ফিরোজ, মো. শহিদুল ইসলাম ও বায়েজিদ শরাফিসহ এলাকার কয়েক ব্যক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন তার ছেলে আবেদিন শরাফী ব্যাংদহা কউিনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে কর্মরত। গত নভেম্বর মাসে তাকে সরাপপুরের শাহাদাত হোসেনের পুত্র লাল্টু এলাকার ঘের তেকে লুটপাট করে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় সে ও তার দুই সহযোগী রশিদ ও সাইফুল্লাহ ভেলু আবেদিন শরাফীকে মারধর করে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হলে সে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিতে থাকে। এরপর আরও একদিন আবেদিনকে মারধর করার চেষ্টা করলে তার স্ত্রীর বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়। লাল্টু এলাকার মানুষের গরু ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। বাঁধা দিলে বলে ঠ্যাং ভেঙে দেবো। বাড়াবাড়ি করলে লাশ ফেলে দেবো। এ নিয়ে সাতক্ষীরার পত্র-পত্রিকায় রিপোর্টও প্রকাশিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির আরও বলেন গত ১০ মার্চ তার পুত্র আবেদিন শরাফি শান্ত অফিসে যাচ্ছিল। এ সময় লাল্টু, সাইফুল্লাহ ভেলু ও রশিদ তাকে লোহার রড, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তার হাত পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
হুমায়ুন কবির এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। তিনি এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন কেবলমাত্র প্রতিবাদ করায় তার ছেলের ওপর হামলা হয়। তিনি লাল্টু ও তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।