ঘটনার শিকার জেলে আব্দুর রশিদ ও বহরের মালিক আমজাদ হোসেনের সাথে কথা বলে এসব তথ্য মিলেছে। আব্দুর রশিদ ও আমজাদ হোসেন জানান, ৬ মার্চ কদমতলা স্টেশন থেকে মাছ শিকারের পাশ (অনুমতি) নিয়ে পাঁচটি নৌকাযোগে আলাউদ্দীন, ইসমাইল ও কামরুলসহ তারা ২৪ জন জন সুন্দরবনে প্রবেশ করে। পাশ গ্রহনের সময় অভয়ারন্য এলাকায় মাছ শিকারের জন্য তারা মৌখিক অনুমতি আদায়ের অংশ হিসেবে নৌকাপিছু অতিরিক্ত দুই হাজার করে টাকা প্রদান করে।
তারা জানান পুর্ব শর্ত মোতাবেক পুষ্পকাটি পাগড়াতলী অভয়ারন্যে মাছ শিকারের সময় বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন অফিসার কবীর উদ্দীন তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় মামলা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে চালান দেয়ার ভয় দেখিয়ে আটককৃত জেলেদের মালিক আমজাদ হোসেনের নিকট থেকে এক লাখ টাকা আদায় করে। নদীতে মুটোফোনের নেটওয়ার্ক না থাকার কারনে তাদেরকে পুষ্পকাটি টহল ফাঁড়িতে নিয়ে লোকালয়ে থাকা মালিক আমজাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়।
তারা আরও জানান বেলা বারটার দিকে আটকের পর নিচে থাকা কবীর উদ্দীনের এজেন্টের নিকট সন্ধ্যার কিছু আগে টাকা হস্তান্তর করা হলে মাগরিবের পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আমজাদ হোসেন জানান, ওই মুহূর্তে তার নিকট টাকা না থাকায় তার এত জেলেকে চালান দেয়ার ভয়ে ভীত হয়ে তিনি সোনার মোড়ের মাছের আড়ৎ এর ব্যবসায়ী হারুন সাহেবের নিকট থেকে টাকা নিয়ে কবীর উদ্দীনের এজেন্টের হাতে উঠিয়ে দেন।
ইতিপুর্বে একই মালিকের অপর একটি জেলে দল অভয়ারন্য এলাকা থেকে আটক হলেও আইনের আওতায় না এনে আর্থিক সুবিধা নিয়ে বনকর্মীরা তাদের মুক্ত করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আমজাদ হোসেন আরও বলেন যে গত সোমবার তার জেলেরা এলাকা ফিরে আসার পর উর্ধ্বতন একটি মহলের হস্তক্ষেপে লিখিত দিয়ে তারা কবীর উদ্দীনের হাতে উঠিয়ে দেয়া এক লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন। এবিষয়ে কবীর উদ্দীনের মুটোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি সংযুক্ত হননি।