ক্রাইমর্বাতা রিপোট: গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে অনুষ্টিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ভোটবাক্সে ব্যালট ভরা, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের তৈরি ২০১৮ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়েছে। বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে। কিন্তু কার্যত সব ক্ষমতাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। গত ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু এই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এই নির্বাচনে ভোটবাক্সে ব্যালট ভরা, বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি দেয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার চলার সময় অনেক বিরোধী প্রার্থীকে হয়রানি, হুমকি দেয়া, বিতর্কিত গ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে। এর ফলে অনেক বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের পক্ষে স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রচার চালানো সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি এবং বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে পর্যবেক্ষকদের ভিসা দেয়া হয়নি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২২টি এনজিও’র মধ্যে মোটে ৭টিকে অনুমোদন দেয়া হয়।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, ডিসেম্বরের নির্বাচনে বেসামরিক কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো দেশজুড়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো নির্যাতনের বিচার না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চালানো নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকার খুব কম পদক্ষেপই নিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, বাংলাদেশে আরও কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে গুম, খুন, নির্যাতন, অযাচিত সেন্সরশিপ, সাইট ব্লক করা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘন প্রভৃতি বিষয়।