প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘ছোটবেলায় আমি মাকে হারিয়েছি। আপনার মাঝে আমি আমার মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই।’
নুর আরও বলেন, ‘আমি আড়াই বছর বয়সে মাকে হারাই। ছোটবেলায় আমার একজন স্কুলশিক্ষিকার মাঝে মায়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পেয়েছি। আর একজনের মধ্যে আমি মাতৃত্বকে খুঁজে পেয়েছি। এখন আপনার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মাঝে আমি মাতৃত্বের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেয়েছি।’ তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে পাশে বসান।
শনিবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এসব কথা বলেন নুর। গণভবনে উপস্থিত একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন নুর। এ সময় ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস গোলাম বাব্বানী ও পরাজিত ভিপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বক্তব্যে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব ও উন্নয়নকাজ বিশ্বে তাকে প্রশংসনীয় অবস্থানে নিয়েছে উল্লেখ করে ভিপি নুর ডাকসু কার্যকরে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে ডাকসু ভিপির বক্তব্য দেয়ার পর আমন্ত্রিত নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাকসু নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয়, এটা সবসময় বলেছি। ছাত্রছাত্রীরা যা চাইবে, তাই হবে। ভোট কে কত পেল, সেটা বড় নয়। যারা জয়লাভ করেছে সবার কিন্তু এই বিবেচনা রাখতে হবে কে ভোট দিল কে দিল না সেটা বিষয় নয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল ছাত্র সংসদের সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও বক্তব্য রাখেন।
শনিবার দুপুর ২টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আসতে শুরু করেন ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি বাসে তারা গণভবনে পৌঁছান।
সবার শেষে বিকাল ৩টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে গণভবনে পৌঁছান ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। ওই গাড়িতে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এ ছাড়া সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) নির্বাচিত হন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।