লাল্টুর জনসভায় শওকত চেয়ারম্যান ইস্যু !!
—————————————————!!
গতকাল সন্ধ্যায় সিংহলাল দাখিল মাদ্রাসার সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টুর আনারস প্রতীকের জনসভা ছিল। উক্ত জনসভায় সকল বক্তার মুল বক্তব্য ছিল জালালাবাদ ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাস্টার শওকত আলী স্যারের প্রতি অন্যায় ও জুলুমের কথা। উপজেলা আওমীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি মোর্শেদ, উপজেলা আওমীলীগের সাবেক সভাপতি মজনু চৌধুরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম লাল্টু উপস্থিত জনতার সামনে বলেন আমাদের বলতে লজ্জা নাই এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামায়াত ইসলামের চেয়ারম্যান। তার মতন ভালো মানুষ কে অন্যায় ভাবে অনেকগুলো মামলা দেওয়া হয়েছে। মজনু চৌধুরী এবং লাল্টু সাহেব জনতাকে হাতি উঠিয়ে স্বীকারোক্তি নেন উনি কি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাকি বিনা ভোটের চেয়ারম্যান?? মুর্হুমুহু স্লোগানে হাত উঠিয়ে বলেন উনি আমাদের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তখন মজনু চৌধুরী এবং লাল্টু ভাই তাদের বক্তৃতায় বলেন তাহলে কেন তাকে অন্যায় ভাবে চেয়ারম্যান কেড়ে নেওয়া হলো? কেন তাকে জুলুম করা হলো? কেন তাকে সরিয়ে একজন অদক্ষ লোক কে চেয়ারম্যান করা হলো? আপনারা কি এর বিচার চান? জনগণ সমস্বরে জবাব দিলো আমরা বিচার চাই। বলা হলো আগামী ২৪ তারিখের পর আপনারা এর বিচার পাবেন ইনশাআল্লাহ। থানা পর্যায়ে সকল অতিথি ছাড়াও ইউনিয়ন লেভালের সব নেতাই বক্তৃতায় শওকত চেয়ারম্যানের প্রতি অন্যায় অবিচার তুলে ধরে তার প্রতিকার চেয়েছেন।। আমরা এর প্রতিকার পাবো কিনা জানিনা তবে ভালো লাগলো হাজারও জনতার সামনে ভিপি মোর্শেদ, মজনু চৌধুরী এবং লাল্টু ভাইরা স্বীকার করলো এবং দুঃখ প্রকাশ করলো চেয়ারম্যানের প্রতি যে জুলুম হয়েছে সেটা। আজ তারা স্বীকার করলো মাস্টার শওকত আলী কত জনপ্রিয় সেটা। তারা স্বীকার করে নিয়ে ভোট চেয়ে প্রমাণ করলো মাস্টার শওকত আলীর প্রতি জুলুম করে ২ নং জালালাবাদ ইউনিয়নে জয়লাভ করা সম্ভব না। আর এভাবেই মুমীনদের আল্লাহ পুরস্কৃত করে। শত্রুর হাত দিয়েই স্বীকার করে নেওয়াই কারা হকের পথে আছে, কারা ন্যয়ের পথে আছে। আলহামদুলিল্লাহ আর এটাই তো মুমীনের সুস্পষ্ট বিজয়।।
Check Also
সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন
ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা: ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …