ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ঢাকা : গণফোরাম থেকে বহিষ্কৃত নেতা সুলতান মো. মনসুর বিএনপির মাথায় কাঁঠাল রেখে জাতীয় সংসদে বসে খাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন গয়েশ্বর।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের সাথে থেকে, আমাদের মাথায় কাঁঠাল রেখে সুলতান মো. মনসুর সংসদে বইসা এখন কাঁঠাল খাচ্ছেন। আমরা পাখি চেড়ে দিলাম, সংসদে চইলা গেলো। আরো কিছু অপেক্ষা (সংসদে যোগদান) করছে কি না, তাও জানি না।
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘পাখি যায় যাক, পাখিদের একটাই বলব, গণতন্ত্রের নেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে হস্তান্তর করে কারও যদি সংসদ যাওয়ার শখ থাকে যান, কিছু বলব না। কিন্তু তিনি (খালেদা জিয়া) জেলে থাকবেন আর পার্লামেন্টে গিয়ে কথা বলবেন, সেই কথা শোনার জন্য কিন্তু আমরা কখনই প্রস্তুত থাকব না।’
মৌলভীবাজার-২ আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী সুলতান মো. মনসুরের সংসদে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের মঞ্চে থেকে সে কি শ্লোগান দিতেন? যেগুলোতে আমরা অভ্যস্ত না, তা নিয়ে তিনি মাতামাতি করত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো কিছুতেই তৃপ্ত হন না। সে এক অতৃপ্ত বাসনা নিয়েই রাজত্ব চালাবে, যতই পান ততই চান। মানুষের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণায় তাকে পুলকিত করে, আনন্দিত করে। মানুষের জন্য কোনো কিছু করে তিনি কোনো আনন্দ লাভ করতে পারেন না। এরকম বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন একটা ব্যক্তির কবলে সারা দেশ।’
খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীনরা কারাগারে নেয়নি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছেন। তারপরও সন্তুষ্ট নন। দেশনেত্রী জেলাখানায় আছেন-এটাই তার স্বস্তি নয়। তার মৃত্যুর সংবাদ তিনি যতক্ষণ পর্যন্ত না শুনবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি বিচলিত। এটাই তার পণ, এটা তার অঙ্গীকার। এ জন্য তাকে একসঙ্গে সহযেগিতা করছে প্রশাসন ও আদালত।’
সংগঠনের আহবায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সদস্য এসকে সাদীর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, উলামা দলের নেসারুল হক, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, তকদির হোসেন জসিম, নাজিমউদ্দিন মাস্টার, শহীদুল ইসলাম ভুঁইয়া, নাসির হায়দার প্রমুখ।