ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ৯০তম জন্মদিন পালন করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বুধবার দুপুরে গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টরে বিশাল এক কেক কেটে জন্মদিনের উৎসব শুরু হয়।
জন্মদিন উদযাপন কমিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এরশাদ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
এর আগে সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে এরশাদ বলেন, এদেশে আমার মতো অত্যাচারিত নিষ্পেষিত ব্যক্তি আর নেই। আমার বিপক্ষে রায় দেয়ার জন্য সাত বার জজ পরিবর্তন করা হয়েছে। বিনা বিচারে আমাকে ছয়বছর কারাগারে রাখা হয়েছে। অত্যাচার আমাকে দমাতে পারে নাই। হয়তো জীবদ্দশায় এটাই আমার শেষ বক্তব্য।
তিনি বলেন, শত অত্যাচার ও অবিচারের পরও জাতীয় পার্টি টিকে রয়েছে। দীর্ঘ অত্যাচারে যে জাতি টিকে থাকে সে জাতিকে কেউ ধ্বংস করতে পারে না। আমাদেরকেও শেষ করতে পারবে না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা দলকে আরো শক্তিশালী করো। ইনশাআল্লাহ আগামীতে এ জাতীয় পার্টি ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে যাবে।
রওশন এরশাদ তার বক্তব্যে এরশাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরলে কর্মীরা সিএমএইচে এরশাদের ভুল চিকিৎসার জন্য বিচারের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। শ্লোগানের একপর্যায়ে রওশন বলেন, এ বিষয়ে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। সিএমএইচে ভুল চিকিৎসা হতে পারে না। সেনাবাহিনী নিয়ে কোনো বিরূপ মন্তব্য করা যাবে না। এতে পরিণতি ভালো হবে না।
জিএম কাদের তার বক্তব্যে এরশাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, তিনি আমাদের পিতার মতো লালন পালন করেছেন, পুরো পরিবারকে আগলিয়ে রেখেছেন। শুধু আমাদের পরিবারকে নয়, নয় বছয় পুরো দেশকেই আগলিয়ে রেখেছিলেন।
বক্তব্যের পর পার্টির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন নেতাদের আনা কেক কাটেন এরশাদ। পরে পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এরশাদকে ফুলের তোড়া দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছো জানান।
এছাড়া বিকালে গুলশানের পিংসিটিতে জাপার যুগ্ম-মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয়ের উদ্যাগ্যে এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের ছাড়াও জাপা নেতা ও সংগীত শিল্পী সাফিন আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একই সময়ে রাজধানীর শ্যামপুর বালুর মাঠে বিশাল আকৃতির কেক কেটে এরশাদের ৯০তম জন্মদিন পালন করে শ্যামপুর কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি। এসময় জাপা নেতা সুজন দে, শেখ মাসুক, ইব্রাহীম মোল্লা, কাউসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।