ক্রাইমর্বাতা রিপোট: ভারতের হতদরিদ্র ৫ কোটি পরিবারকে মাসে ৬ হাজার রুপি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে সেটিকে স্রেফ ‘ধাপ্পাবাজি’ হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অভিযোগ, ক্ষমতায় গেলে ইন্দিরা, রাজীবের মতো রাহুল গান্ধীও ব্যর্থ হবেন।
তবে কংগ্রেস এবারের লড়াইকে রাহুলের ‘ন্যায়’ বনাম নরেন্দ্র মোদির ‘অন্যায়ের’ লড়াই হিসেবে দেখছে। এর মধ্যেই দেশের চলমান সংকট নিরসনে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকেরও তাগিদ দিয়েছে দলটি।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে বিশ্বে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষদের একটি বড় অংশ বাস করছে ভারতে। সংখ্যাগত দিক থেকে যেখানে ভারতের অবস্থান তৃতীয়।
এবারে দেশটিতে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসরত সেই মানুষদের জন্য বড়সড় ঘোষণা দিলেন বিরোধীদল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। হতদরিদ্র ৫ কোটি পরিবারকে প্রতি মাসে দেয়া হবে ৬ হাজার রুপি করে। ১১ই এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণার মধ্যেই দারিদ্র বিমোচনে সোমবার এই ঘোষণা দিলেন তিনি।
রাহুলের এ ঘোষণার পরপরই জোর সমালোচনা শুরু হয় বিরোধী মহলে। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন কর্মসূচির ফল হিসেবেই ব্যাংক একাউন্টে অর্থ দেয়ার ঘোষণা দিতে পারছেন কংগ্রেস। বিজেপির অন্য নেতারাও সরব রাহুলের সমালোচনায়।
১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধী ‘গরীবী হটাও’ স্লোগান দিয়েছিলেন। একই পথে রাজীব গান্ধীও হেঁটেছেন। তবে তারা সবাই ব্যর্থ। রাহুল গান্ধীও এখন এ বিষয়টি নিয়ে প্রতারণার শুরু করেছেন।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতারা ভারতের চলমান সংকটের জন্য বিজেপি দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন। নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ দ্বন্দ্ব নিরসনে পাকিস্তানের আলোচনার ডাকে ভারতের সাড়া দেয়া উচিত বলেও মত তাদের।
এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গের মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, শাসকদল ভারতে বিদ্বেষ এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে, কেউ কিছু বললেই তাকে পাকিস্তানি বানিয়ে দেয়া হচ্ছে।
কথার তুমুল যুদ্ধের মধ্যেই দেশটিতে লোকসভার প্রচারণা জমে উঠেছে সমানতালে। অভিনেতা কমল হাসান আন্দামান দ্বীপে মমতার তূণমূলের হয়ে প্রচারণায় অংশ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রার্থী অভিনেত্রী হেমা মালিনি মন্দিরে পূজাপাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন।