এনবিআরের সার্ভার হ্যাকিং করে শত শত কোটি টাকার পণ্য ছাড়, ব্যবস্থা নেবেন বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ    ঢাকা : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করে নেয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আগেই আমাদের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল।’

বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

এনবিআরের সার্ভারে অনুপ্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের ঘটনা তুলে ধরে বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের সরকারি আইডি ও পাসওয়ার্ড চুরি করে পণ্য পাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র তিন বছরের বেশি সময় ধরে এই সার্ভারের অবৈধ ব্যবহার করেছে। এ সময় চক্রটি শত শত কোটি টাকার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড় করে নিয়েছে।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি। এটা আগেও হয়েছে। আজকে অফিসে গিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব। কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা আমরা দেখব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে হয় আগে থেকেই আমাদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল।’

এনবিআরে এ ঘটনার শুরু ২০১৬ সালে- জানাতেই মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এটা একই রকমভাবে হচ্ছে। অফিসারদের আইডি ইউজ করে কনসাইনমেন্টগুলো রিলিজ করা হয়।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ওই এলাকাকে তো তারকাঁটার বেড়া দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দূর থেকে আইডি কার্ড ইউজ করে পারবে না। ভেতরে যেতে হবে সার্ভারে ঢুকতে হলে। আমার মনে হয় সার্ভার আরও অনেক বেশি সংরক্ষিত হওয়া দরকার। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘টেকনোলজি যত ডেভেলপ করবে এই বিপদগুলো তত থেকে যাবে। আমরা আমাদের টেকনোলজি শুধু বাড়াচ্ছি কিন্তু এগুলোর সেফটি-সিকিউরিটি বাড়াচ্ছি না। প্রত্যেকটির পেছনে একাধিক ফায়ারওয়াল রাখতে হবে। একটা ভাঙতে পারলে আরেকটা…। আমরা যেন সিকিউরড থাকি। ওই ওয়ালগুলো আমাদের তৈরি করতে হবে।’

Check Also

৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।