ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ বরগুনায় যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার পর হামলাকারীরা ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে আহত যুবককে ফোনে কথা বলিয়ে দেয়। এ সময় ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী হামলার শিকার যুবককে বলেন, প্রাণে মারলাম না, শুধু হাত-পা ভাঙ্গা হলো, জানটা ভিক্ষা দিলাম’।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর আহত ওই যুবক মো. নাজমুল আহসান হিরু (৩০) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। হিরু বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের উত্তর লাকুরতলা গ্রামের প্রবাসী মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিজেকে নৌকা প্রতীকের সমর্থক পরিচয় দিয়ে হিরু জানান, সোনার বাংলা এলাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এ সময় আনারস প্রতীকের সমর্থক আলীম নামের এক যুবক গামছা দিয়ে তার গলা বেঁধে ফেলে। এরপরই আলিফ, সোহেল, মাসুদ, সুজন, শফিক এবং ওলি ধারালো রামদা এবং ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তার দুই হাত এবং পা ভেঙ্গে দেয়। এ সময় প্রাইভেট পড়তে আসা হিরুর ছোট বোন মারুফা ভাইকে বাঁচাতে এলে তাকেও লাথি মারে তারা।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিহার রঞ্জন বৈদ্য জানান, আহত হিরুর দুই পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে।
দুই হাতেও জখম রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না জানিয়ে অভিযুক্ত প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম মনির পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তার উপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরেও শহরের মিষ্টিপট্টি এলাকায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এতে তিনি অক্ষত থাকলেও তার একাধিক সমর্থক আহত হয়েছেন।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসাইন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।