ক্রাইমর্বাতা রিপোট: পেকুয়া ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিয়ানমারের দুই রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দস্যু বাহিনী ও মাদককারবারীদের পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে জেলার পেকুয়ায় ও টেকনাফে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। তবে নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে টেকনাফে অভিযান চালায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে মাদকব্যবসায়ীরা গুলি ছুড়ে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আত্ম-রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে দুইজন নিহত হয়। টেকনাফ বিজিবির সিও আসাদুজমান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, নিহত দুইজন রোহিঙ্গা মাদককারবারী।
এদিকে রাজধানীর ভাষানটেক নিহত শফিকুল ইসলাম শফিক নরসিংদীর তালিকাভুক্ত এক নম্বর সন্ত্রাসী। তার নামে তিনটি হত্যা, চারটি অস্ত্র মামলাসহ অন্তত ১২টি মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ভাষানটেকের একটি বাড়িতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্তত ৬ রাউন্ড গুলি ও অসংখ্য গুলির খোসা উদ্ধার করেছে র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-১১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শমসের বলেন, নরসিংদীর ১২ মামলার আসামি শফিকুল ইসলাম শফিক দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন। একটি অস্ত্র মামলার তদন্ত করতে গেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শফিকুলের অবস্থান জানা যায়। সে মোতাবেক মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ভাষানটেকের একটি বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। পাঁচতলা ভবনটি তল্লাশি করে র্যাব সদস্যরা ছাদে পৌঁছালে সেখানকার চিলেকোঠার একটি কক্ষ থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছোড়া হয়। এ সময় র্যাব সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে শফিকুল গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় প্রদীপ চন্দ্র (৩৫) ও ফারুক হোসেন (৩২) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।