ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের এফআর টাওয়ারে লাগা আগুন থেকে পালানোর সিঁড়ি থাকলেও তা ছিল তালাবদ্ধ। শুক্রবার এফআর টাওয়ারের তল্লাশী কার্যক্রম শেষ করে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাজাহান শিকদার বলেন, এই ভবনে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল। ফায়ার এস্কেপ হিসাবে একটি লোহার সিঁড়ি থাকলেও, বিভিন্ন ফ্লোরে সেটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।
তিনি বলেন, দেখা গেছে, যে অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবন থেকে বেরুনোর এই সিঁড়িটি লোহার ফ্রেমের তৈরি এবং খুবই সরু।
শাজাহান শিকদার বলেন, বিল্ডিংয়ের প্রতিটি স্থান আমরা তল্লাশি করে দেখেছি, আর কোন মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশী করার পর, ভোর ৬টা থেকে আমরা আবার কাজ শুরু করি। নতুন করে আগুনের উৎপত্তি হওয়ার সম্ভাবনাও আর নেই।
শাজাহান শিকদার বলেন, ভবনের ভেতর অনেক অফিস এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। খোলা ল্যাপটপ, মানিব্যাগ, ডলার বা টাকাপয়সাও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, কিভাবে আগুন লাগলো বা ক্ষয়ক্ষতি কতো হয়েছে, আনুষ্ঠানিক তদন্তের পরে তা জানা যাবে।
দমকলের তল্লাশি শেষ হবার পর এফআর টাওয়ারের দায়িত্ব নেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে আগুন লাগে এফ আর টাওয়ারে। ভবনের নবম তলায় আগুনের সূত্রপাত। পরে ছড়িয়ে পড়ে ২৩তলা ভবনের বেশ কয়েকটি তলায়। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও বিমানবাহিনীর পাঁচটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। ভবনটির ছাদে আটকেপড়া অনেককে উদ্ধার করে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণে হেলিকপ্টার থেকে ভবনটিতে পানিও ফেলা হয়।
ভয়াবহ এই আগুনে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের লাশও বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আহত অন্তত ৭৩ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।