ক্রাইমবার্তা রিপোটঃআগুন লাগা রাজধানীর বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ার হেলে পড়েছে। কলাম ও স্ল্যাব ভেঙে গেছে। যা সংস্কার করতে সময় লাগবে তিন মাস। আজ বেলা ১১টার দিকে বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি ভবনটি পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান। বিশষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কারের আগে ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। এদিকে হেলে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে পাশের ভবন এ আর টাওয়ারে অবিস্থিত সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরাও ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পরিদর্শনের পর তদন্ত কমিটি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ সময় তারা বলেন, ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট ছিল নামমাত্র। কার্যকরও ছিল না। তদন্ত কমিটির সদস্য ও বুয়েটের শিক্ষক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া এফআর টাওয়ার ব্যবহার করা যাবে না। ভবনে কলাম ও স্ল্যাব ভেঙেছে এবং এটি কিছুটা হেলেও পড়েছে। এই ভবন সংস্কারে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে।
তিন মাস লাগার কারণ ব্যাখ্যা করে বুয়েটের শিক্ষক বলেন, ভবনে জরুরি নির্গমন পথ ছিল খুবই অপ্রশস্ত। কেবল একটি ফ্লোরে ফায়ার ডোর ছিল। আরও বেশ কিছু জায়গায় ত্রুটি রয়েছে ভবনটিতে। এগুলো সংশোধন ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না।
ভবনে জরুরি নির্গমনের পথ ছিল না জানিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ও বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেন, পরিদর্শনের সময় আমরা দেখেছি যে, ভবনে জরুরি নির্গমন পথটি কোনো কোনো জায়গায় বন্ধ ছিল।
১৮ তলা ভবনটি ২৩ তলা করায় তা কতটা ঝুঁকি তৈরি করেছে সেটি খতিয়ে দেখতে ইট ও কংক্রিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য ও রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিজাত এলাকার এ টাওয়ারটিতে আগুন লাগে। এতে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৬ জন। ৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপক, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও সচিব (উন্নয়ন) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রয়েছেন। এই কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদ