ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ব্যালট যাছাই বাছাই ও পুরনায় ভোট গননার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আলাউদ্দীন জোয়াদ্দার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত গত ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদো সাবেক কমান্ডার ও খেশরা ইউপির দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য এমএম ফজলুল হক। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয় নির্বাচন শেষে উপজেলা নির্বাচন অফিসার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস তার অধীনস্ত কর্তকর্তাতের যোগসাজসে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির মাধমে অধিকাংশ কেন্দ্রের ফলাফল শীট না আসার পূর্বেই ফজলুল হকের প্রতিদ্বন্দী নৌকার প্রার্থী ঘোষ সনৎ কুমারকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। যখন ৪৮ কেন্দ্রের ফলাফলে আনারস প্রতিকের প্রার্থী ৭ হাজার ভোটে এগিয়ে ঠিক তখনই হঠাৎ করেই কন্ট্রোল রুম থেকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ঘোষ সনৎ কুমারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এমনকি এ সময় আনারস প্রতিকের নির্বাচনী এজেন্টদের কাছ থেকে কন্ট্রোল রুম থেকে কোন ধরনের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। যা নির্বাচনী আচরণ পরিপন্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানকর।
এছাড়া তালা উপজেলার ৯৩ টি কেন্দ্রের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ টি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক ভোটের ফলাফলের ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখ জনক। তিনি আরো বলেন, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ভোটের যে ফলাফল দেয়া হয়েছে সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ। ওই ফলাফলে ভাইস চেয়াম্যান পদে ২,৭২৬ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪,৩২৭ ভোট বাতিল দেখানো হলেও চেয়ারম্যান পদে মাত্র ১,৬৪৪ ভোট বাতিল বাতিল দেখানো হয়েছে। যা পূণঃগণনা করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এমতাবস্থায় নির্বাচনের ফলাফল ব্যালট যাছাই বাছাই ও পুরনায় ভোট গননার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা গোলদার, শাহাবুদ্দীন শেখ, রইছ উদ্দীন, মোহাম্মদ আলী, সোহরাব হোসেন, নজির উদ্দীনসহ ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা।