ডাকসু নির্বাচন এবার বেধড়ক মারধরের শিকার সেই ছাত্রলীগ নেতা

ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ    এবার মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়া হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ছাত্রলীগ নেতা মো: ফরিদ হাসানকে। অভিযোগ হল সংসদের জিএস ও হল শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

আহত ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ওই ঘটনা ঘটে।

ফরিদ এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ছাত্রলীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন অভিযোগ উঠেছিল, বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে তাকে হল থেকে বিতাড়িত করেছে ছাত্রলীগ। সে নির্বাচনের ২০ দিন পর তাকে রড ও লাঠি দিয়ে পেটানো হলো।

এস এম হলের ১৫৯ নম্বর রুমে থাকেন ফরিদ। তিনি গত ১১ মার্চ এসএম হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগের জুলিয়াস সিজার তালুকদার।

মারধরে আহত ফরিদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তার কপালের ডান পাশ থেকে ডান কান পর্যন্ত ৩২টি সেলাই পড়েছে।

হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের অভিযোগ, ফরিদ মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের সাথে জড়িত। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফরিদ।

ফরিদ অভিযোগ করেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসএম হলে নিজের কক্ষে (১৫৯ নম্বর) ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ওয়াসিফ হাসান পিয়াসের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা তার কক্ষে গিয়ে তাকে বের হতে বলেন। তারা ফরিদকে টানাহেঁচড়া করে হলের ডাইনিং কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে ছিলেন হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান পিকুলসহ কয়েকজন। প্রথমে তাপস ফরিদের ওপর চড়াও হন। তারা ফরিদকে বলতে থাকেন, ‘তোকে হলে থাকার সাহস কে দিয়েছে?’ ডাইনিং কক্ষে হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের সামনেই ছাত্রলীগ নেতারা ফরিদকে মারধর করেন। পরে মারধর থেকে বাঁচতে দৌড়ে হল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

এদিকে, ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগ ও হল সংসদের নেতারা হলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় তারা ফরিদকে হল থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।

মারধরের বিষয়ে ছাত্রলীগের এসএম হল শাখার সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, ‘সে (ফরিদ) ইয়াবা খায়। নেশা করে। তাকে হল থেকে বের করে দেয় হল প্রশাসন। তার পরও সে হলে থাকে।’

Check Also

সাতক্ষীরায় পুত্রবধূর হাতে নির্যাতিত সেই স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন

ক্রাইমবাতা রিপোট, সাতক্ষীরা:   ছেলে ও পুত্রবধূর হাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশতলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।