খাজরা গ্রামের নারায়ন সরকার জানান, খাজরা মৌজার এসএ ৪৬ দাগে তিনি ও তার ভাই অমর সরকার ওরফে কেনার নামে ২৯ শতক জমি রয়েছে। এ ছাড়াও তারা এসএ ৪৮ দাগে বাবার নামীয় ডিএস রেকডীয় ১৭শতক জমিতে বংশ পরম্পরায় ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছেন। একইসাথে বসত ভিটার সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেশ কিছু জায়গা ডিসিআরের আবেদন করে দখলে রয়েছেন তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গার উপর দিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে মেইন রাস্তায় উঠতে হয়।
গত বুধবার ওই জমি থেকে একটি বড় নিমগাছসহ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেয়। বাধা দেওয়ায় তাদেরকে মারপিট করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক সাবেক ইউপি সদস্য রেজা, দুলাল চন্দ্র সরকার, সুনীল সরকার, প্রসাদ সরকারসহ অনেকেই। একপর্যায়ে হারান ম-ল ও তার সহযোগীরা ওই কেটে ফেলা নিম ও অন্যান্য গাছ নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে তাদের (নারায়ন) রান্নাঘর ভাঙচুর করে। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে (নারয়ন) গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হয়। যদিও পুলিশ উভয়পক্ষকে বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ না করার জন্য বলে যায়। এরপরও ১০/১২ জন সশস্ত্র ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বৃহস্পতিবার সকালে মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে ও ভিতরের বেশ কিছু জায়গা দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তাসহ লম্বালম্বিভাবে দখল করে নেয়। দ্বিতীয় দফায় তাদের রান্না ঘর ভেঙে ফেলা হয়। বেড়া দেওয়ায় রাস্তা বন্ধ হয়ে তাদেরসহ ১০টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।