ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জনে সকল ধর্মবর্ণের মানুষের অংশগ্রহণ ছিলো। এটা কারো একক কৃতিত্ব নয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এসে যারা ধর্মনিরপেক্ষতার ঘোষণা দেয় তারা আসল ইতিহাসকে গোপন করছে। স্বাধীনতার ঘোষণায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিল না। ৭৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করা হয়। ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণায় বলেছিলেন আল্লাহর ওপর ভরসা করে যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই শত্রুর মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, বিজয় আসবেই, ইনশাআল্লাহ’। কাজেই এখানে ধর্মনিরপেক্ষথার কোন কথা ছিল না। তিনি বলেন, বিরোধী দলের অবদানকে অস্বীকার করা রাজনৈতিক চরম সংকীর্ণতা। এত সংকীর্ণ মন নিয়ে রাজনীতি করা যায় না।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ‘অতিসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাকশাল গঠনই সঠিক ছিল’। যদি প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য ঠিক হয়ে থাকে তাহলে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নেই, যারা আওয়ামী লীগ করেন তারা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে নেই। কেননা বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠণ করেছিলেন। তিনি বলেন, দেশকে বাকশাল ঘোষণা দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। দেশের জনগণ বাকশাল প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেনি। মনে রাখবেন যে জাতি স্বাধীনতার জন্য জীবন ও রক্ত দিতে পারে, সে জাতি একবার চটে গেলে আপনারদের আখের রক্ষা হবে না।
তিনি বলেন, যারা জামায়াত শিবির করে তাদের লেবাস ঠিক নেই। অআর যাদের লেবাস ঠিক এনই তারা জান্নাতে যেতে পারবেনা।
তিনি বলেন, বিজয়ের দীর্ঘ ৪৮ বছর অতিক্রম করলেও মানুষ স্বাধীনতার সুফল আজো পায়নি। চারিদিকে নৈরাজ্য, মারামারি, হানাহনি, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। মানুষের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নেই। সাধারণ মানুষের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সাতক্ষীরা পিটিআয় মাঠে অনুষ্ঠিত আজকের ওয়াজ মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা রবিউল ইসলাম,মাও আতাউর রহমান, মাও ইহসানুর রহমান , মোস্তফা শামসুজ্জামান, মাওলানা আমির হোসেন। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন শেখ আব্দু রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পিছনে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি অবদান। ১৯৪৭ সালে মাওলানা শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলবী রহ.ভারতকে দারুল হারব রাষ্ট্র ঘোষণা না দিলে এদেশ স্বাধীন হতো না। বিজয় হয়েছে একটি দেশের, ভূ-খন্ডের, স্বাধীন হয়নি এদেশের মুসলমানদের। ৭১-এ দেশের জনগণ যে আশা ও চেতনা নিয়ে জীবন দিয়ে পাকিস্তানীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলমানরাই সবচেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা বিসমিল্লাহ বলে এবং আল্লাহু আকবার বলেই গুলি চালিয়েছে। কাজেই ৪৮ বছর পর এসে জাতিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও রুখে দাড়াবে।