ক্রাইমর্বাতা রিপোর্ট:সাতক্ষীরা: গণদাবির মুখে বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহার করে নিল সাতক্ষীরা পৌরসভা। বিগত কয়েকদিন যাবত পৌরসভার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ। সেই প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা পৌরসভা মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পৌরসভা অডিটোরিয়ামে পৌরবাসীর সাথে পানির মূল্য বৃদ্ধি ও সুপেয় পানি সরবরাহে করণীয় নির্দ্ধারণের জন্য এক গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, আব্দুস সেলিম, শফিক উদ দৌলা সাগর, শাহিনুর রহমান শাহীন, ফারহা দিবা খান সাথী, জ্যো¯œা আরা, শফিকুল আলম বাবু প্রমুখ। গণশুনানিতে পৌরসভার সর্বস্তরের তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করেন। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় পর্যন্ত পানির মূল্য বৃদ্ধি করা যাবে না।
নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, এখনই সময় জনগণের মতামতকে সম্মান প্রদর্শন করে অবিলম্বে আপনাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিন এবং পৌরসভার সর্বত্র সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
এড. ইকবাল লোদী বলেন, যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে আপনারা যে বেআইনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনতিবিলম্বে আইনকে সম্মান করে আপনাদের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন, শেখ হারুন উর রশিদ, এড. আজাহার আলী, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবুল, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সুধাংশু শেখর সরকার, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, মাধব দত্ত, আমির হোসেন খান চৌধুরী, রওনক বাসার প্রমুখ।
পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী তার বক্তব্যে সাতক্ষীরা পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার সেলিম সরোয়ারকে তীব্র ভৎসনা করে বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পৌর এলাকায় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা, সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কোথায় কি ধরনের সংযোগ আছে তা নিশ্চিত করতে না পারলে তাকে বদলী করার হবে। এছাড়া সম্প্রতি বর্ধিত পানির বিল প্রত্যাহার এবং আগামী ২ মাসের মধ্যে সাতক্ষীরা পৌরসভার পানির বিষয়ে সকল সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Check Also
আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …