স্রোতের বিপরিতে কিছু কথা : প্রসঙ্গ নুসরাত
“””””””””””””””””””‘””””””””””””””””””””””
সবার মতো আমি নুসরাত বিষয়কে গতানুগতিক ভাবে নিতে পারলাম না। কিবোর্ডের এক চাপেই কারো নাম উল্লেখ করে ফাঁসি চাইতে পারছি না।
নুসরাত অগ্নিদগ্ধেরর পর থেকে প্রত্যেকটা নিউজ(পক্ষে বিপক্ষে) আমি মনোযোগ সহকারে পড়েছি তাতে আমার মনে কিছু ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথমতো সেই অধ্যক্ষকে সবাই ধর্ষক হিসাবে প্রচার করছে অথচ তাকে কিন্তুু কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল!
বিশেষ করে মাদরাসা বলে তৃপ্তির সাথে ধর্ষক প্রচার করছে কিছু মানুষ বা মিডিয়া।
খুনি ও ধর্ষকের কড়া বিচার হোক! অপরাধী যথাযথ শাস্তি পাক।
এখন কথা হল – আগুন দেওয়ার সময় সেই অধ্যক্ষ তো জেলে ছিল।
হ্যা তার চ্যালা প্যালারা দিতে পারে,,,,
কিন্তুু পরীক্ষা কেন্দ্রে তো ১৪৪ ধারা জারি থাকলে কিভাবে প্রবেশ করল? প্রবেশপত্র ছাড়া তো কেউ হলে বা কেন্দ্রে ভিতর ঢুকতে পারে না।
আবার সাথে সাথে গিয়ে পুলিশ সেখানে কাউকে দেখতে পেল না অথচ নামার সিঁড়ি একটাই? পুলিশ কী দায় এড়াতে পারে??
এখানে অন্য কেউ ফায়দা লুটতে যায়নি তো? ওদের ব্যক্তিগত কোন শত্রু কিম্বা মাদ্রাসা কমিটির কোন পক্ষ? আর তাকে বানানো হলো বলির পাঠা? আবার অনেকের অভিযোগ দেখলাম ছাত্রী নিজের গায়ে নিজেই আগুন দিয়েছে, সে এর পুর্বেও সুইসাইড করতে গেছে।
বাংলাভিশন একটা নিউজ করেছে দেখলাম মাদ্রাসা কমিটির সহ সভাপতি
স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতা এর সাথে সরাসরি জড়িত কিন্তুু মামলায় তার নাম নেই( লিংক কমেন্টে বক্সে)
এতগুলো ছাত্রছাত্রীকে অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে নিশ্চয় পিটিয়ে রাস্তায় নামনো যায় নি। তারা আমাদের থেকে আসল কাহিনি অবশ্যই বেশি জানে? একজন লুইচ্চা খুনির পক্ষে ছাত্ররা রাস্তায় নামবে এটাও ভাববার বিষয়….
যেখানে পুলিশ এখনো পর্যন্ত আগুন দেওয়ার সঠিক ক্লু খুজে পায়নি সেখানে আমরা এক মিনিটেই কিভাবে মানুষের নাম বলে দিচ্ছি। সব বিচার যদি পাব্লিক সেন্টিমেন্টের উপর ভিত্তি করেই হয় তাহলে দেশের আইন আদালতের তো কোন দরকার নেই?
সবকথার এক কথা বোনটি মারা গিয়েছে,,,,,,
এখন যেন সে সুবিচার পায়, আত্মা শান্তি পায়।
পাব্লিক সেন্টিমেন্ট নয়! বরং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনি যেন শাস্তি পায়। হোক সে যতবড় প্রভাবশালী নেতা, অথবা সেই অধ্যাক্ষ,,,,,,,,,
নাকি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংশ করতে উপর মহলের কোন ষড়যন্ত্র!!! বিগত কয়েকদিন ধরে মাদরাসায় কিছু অবাঞ্চিত ঘটনা ঘটছে। বিষয়টা ভাবার অাছে।Asma Afrin