ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন জামায়াতের সংস্কারপন্থিরা। সহসাই এ উদ্যোগ দৃশ্যমান হতে পারে। আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এরইমধ্যে তারা নিজেরা একাধিক বৈঠক করেছেন। ঠিক করছেন কলা-কৌশল। ঘরে-বাইরে কী ধরনের বিপত্তির মধ্যে পড়তে হতে পারে সেটাও বিবেচনায় নিচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে জামায়াতের মধ্যে। দলীয় নেতাকর্মীদের নানাভাবে সতর্ক করা হচ্ছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের বিতর্কিত ভূমিকার কারণেই দলটিতে সংষ্কার চেয়েছিলেন অনেকে।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বহিষ্কার হয়েছেন কেউ কেউ। অনেকে স্বেচ্ছায় দলত্যাগ করেছেন। সূত্রমতে, জামায়াত থেকে দূরে থাকা এসব ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীদের নিয়ে সংগঠিত হচ্ছে এই নতুন দল। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ঘোষণাপত্র তৈরির পর আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির অভিষেক হবে।
এই দলে যারা থাকছেন তারা সবাই বয়সে তরুণ। মূলত একাত্তর পরবর্তী প্রজন্মের ব্যক্তিদের নিয়ে এই দলটি সংগঠিত করা হচ্ছে। তবে কারা-কারা এই প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট রয়েছে এ বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে চাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। এতে জামায়াত-শিবিরের কারা থাকছেন জানতে চাইলে ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও জামায়াত থেকে বহিষ্কৃত মজিবর রহমান মঞ্জু জানান, এই উদ্যোগের বিষয়ে জামায়াতের কাউকে নিয়ে তারা বৈঠক করেননি। তবে তিনি নিজে যেহেতু শিবিরের সাবেক সভাপতি সে হিসেবে শিবিরের অনেকেই থাকতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এতে সম্পৃক্ত থাকবেন বলে জানান তিনি।
সূত্রমতে, জামায়াত থেকে পদত্যাগকারী ব্যরিস্টার আব্দুর রাজ্জাকসহ এই দল থেকে দূরে থাকা নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে এই প্রক্রিয়ায় জড়িতদের। তবে, মজিবুর রহমান মঞ্জু বলছেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাকের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। মূলত নতুনদের নিয়ে আমরা সংগঠিত হচ্ছি। তিনি বলেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাকের কাছ থেকে আমরা পরামর্শ নিতে পারি। যেহেতু তিনি বিজ্ঞ ব্যক্তি।
নতুন এই উদ্যোগ সামনে আসায় নিজ দলের কর্মীদের সতর্ক করেছে জামায়াত। এ বিষয়ে মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, জামায়াতে অনেকেই সংস্কার চান। আমি জামায়াতের কেউ না। ওই দলের সংস্কার করার দায়িত্ব আমার না। জামায়াতের কেউ যাতে নতুন দলে সম্পৃক্ত হতে না পারেন এজন্য জামায়াত তার নেতাকর্মীদের বাধা দিতেই পারে। আমাদের সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা দিতে পারে। এটা জামায়াতের অধিকার বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে এখন অধিকারের রাজনীতি প্রয়োজন। দেশে এখন মানুষের অধিকার নেই। মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার প্রয়োজন। আমরা অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করবো। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ঘোষণাপত্র তৈরি করছি। এখন মূলত এই উদ্যোগ নিয়ে আমরা পরামর্শ করছি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দলের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানান তিনি।