ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। দুটি খাদ্য তৈরীর কারখানার মালিক যুবলীগ নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। ভাংচুর করা হয়েছে পিকআপ গাড়ি, একটি বাড়িতে চালানো হয়েছে লুটপাট।
রোববার বিকাল ৫টায় উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ষাড়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ষাড়পাড়া এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মুঞ্জুর হোসেন। এবং মৃত আফর উদ্দিনের ছেলে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নান্নু মিয়া। তারা উভয়েই প্রায় আট বছর যাবৎ সরকার অনুমোদনবিহীন ভুট্টার মিস্টি খই, চিপস, আইস ললি ও আইসক্রীম কারখানা বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিল।
সম্প্রতি নরসিংদী এলাকার মিঠুন নামে এক ক্রেতা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নান্নু মিয়ার কারখানা থেকে বাকিতে মাল কিনে টাকা দিতে গড়িমসি করে। রোববার বিকালে মিঠুনের নিকট যুবলীগ নেতা মুঞ্জুর হোসেন বাকিতে মাল বেচে করে। এ নিয়ে মুঞ্জুর হোসেন ও নান্নু মিয়ার মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নান্নু মিয়া ও তার লোকজন ধারালো দা, ছোরা, হকিস্টিক নিয়ে যুবলীগ নেতা মুঞ্জুর হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে আহত মুঞ্জুর হোসেন (৩৫), নান্নু মিয়া (৩৬), লিপি আক্তার (৪০), মনির হোসেন (৪০), নজরুল (৪৫), ইয়াছিন (৩৫), বিলকিছ আক্তার (৩৫), মজিবুর (৪৫), বাবুল মিয়া (৫২), শামীম মিয়া (২০) ও আলেয়া বেগমকে (২৮) আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
ওই সময় যুবলীগ নেতা মুঞ্জুর হোসেনের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে মুঞ্জুর হোসেন জানান।
অপরদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নান্নু মিয়া অভিযোগ করেন, তার ব্যবসা বন্ধ করার জন্য মুঞ্জুর হোসেন তার ক্রেতাদের কাছে কম দামে ও বাকিতে মাল বিক্রি করছে। ঘটনার দিন তার কারখানায় মাল নিতে আসা একটি পিকআপ মুঞ্জুর ও তার লোকজন ভাংচুর করে বলে জানান তিনি।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।