ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: সর্বনাশা ঝড় আমার ফার্মের সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মুরগির বাচ্চা শেষ করে দিয়ে গেছে। একই সাথে ভেঙ্গেচুরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফার্মটির ঘর। আমি এখন ঋণের দায়ে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি।
সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়ার ‘ইত্তেজা ব্রীডার পোলট্রি হ্যাচারি’ মালিক মো. মহসীন আলি।
তিনি বলেন আমি আমার ফার্মে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মুরগির বাচ্চা পালন করছিলাম। এর প্রতিটির বয়স ১৫ দিন। গত ৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় আকস্মিক ঝড়ে আমার ৬০/২০ ফুট শেডের ফার্মটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ সময় ঝড় ও বৃষ্টির কবলে পড়ে মারা যায় সাড়ে তিন হাজার মুরগির বাচ্চার সবটাই। তিনি জানান এর দাম কমপক্ষে তিন লাখ টাকা। সব মিলিয়ে কমপক্ষে দশ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন আমি এখন দিকহারা হয়ে পড়েছি।
মো. মহসিন বলেন ঝড়ের পরদিন ১০ এপ্রিল এই বাচ্চা বিক্রির অর্ডার ছিল। তিনি জানান এমনকি মুরগির বাচ্চা বিক্রির টাকা দিয়ে লিটন মটরসের এক টন ক্যপাসিটির পিক আপটির বকেয়া টাকা পরিশোধ করারও কথা ছিল। কোম্পানির কাছে সোয়া লাখ টাকার একটি অগ্রিম চেকও দেওয়া ছিল তার । কিন্তু সে টাকা দিতে না পারায় আমি এখন হাবুডুবু খাচ্ছি বলে জানান তিনি। একই সাথে ফার্মটিও নতুন করে সংস্কার এবং ডিম অথবা বাচ্চা তুলবার সুযোগও পাচ্ছি না। ফামটি সংস্কার করে বাচ্চা তুলতে আরও কমপক্ষে লাখ তিনেক টাকা প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে লিটন মটরস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন ঋণে গাড়ির বিক্রির টাকা পরিশোধে আরও অন্ততঃ মাস কয়েক সময় দরকার বলে জানান মো. মহসিন।
১৫.০৪.১৯