ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: মনি: সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমির খাজনা ও নামপত্তনসহ বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, স্থানীয় প্রাভাবশালীদের অবৈধভাবে সরকারি (খাস) জমি বরাদ্দ এবং উক্ত জমিতে পাকা ইমারত নির্মাণে সহযোগিতাসহ ব্যাপক অনিয়ম ও সাধারণ মানুষের হয়রানীর অভিযোগে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সপ্তাহ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চরম ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। এদিকে ইউনিয়নবাসির অভিযোগ, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত কর্মকর্তা জমির খাজনা, নাম পত্তনসহ বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত টাকা আদায় বহাল রাখার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন না করে ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষদের আরো বেশি হয়রানী করছে।
মঙ্গলবার সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের অবৈধ বরাদ্দ দেয়া ঝাউডাঙ্গা বাজারের একাধিক স্থানে সরকারি জমিতে (খাস) প্রভাবশালীরা পাকা ইমারত নির্মাণ কাজ করছে। এছাড়া ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীরে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার অবৈধ দোকানঘরের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ভূমি অফিসে জমির নাম পত্তনের জন্য আসা কয়েকজন গ্রামবাসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নায়েবের বিরুদ্ধে পত্রিকায় অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর আমাদেরকে আরো বেশি হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। এরআগে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করলেও বর্তমানে টাকা বেশি নিচ্ছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ২-৩ দিন হয়রানী করার পর কাজ সম্পন্ন করছেন। তারা বলেন, সম্প্রতি উক্ত কর্মকর্তা ঝাউডাঙ্গা বাজারের কয়েকজন ব্যক্তির (তার সাথে সখ্যতা রয়েছে) সাথে বলে জানিয়েছেন যে, ‘এলাকার মানুষ আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তাতে কিছুই হবেনা বরং কাজ আরো ভালোভাবে করতে পারবো। এছাড়া এরা জানে না আমার হাত কত লম্বা! তবে এবার ইউনিয়নের মানুষ বুঝবে শহিদুল ইসলামের পরিচয়।’ এলাকায় এসব কথা প্রচার হওয়ার পর বর্তমানে ধান কাটার মৌসুমে নায়েবের হয়রানী শিকার হলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় সাধারণ মানুষ ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব শহিদুল ইসলামের এ ধরনের কার্যক্রমে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি সম্ভব হয় আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে। তবে, এসব বিষয় নিয়ে আপনাদের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে পারবো না।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) রনি আলম নূরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আমাদের অনিয়মের অভিযোগে পত্রিকার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে যা তদন্তের জন্য আমাদের সুবিধা হবে এবং এ ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশিষ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যাস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত: সম্প্রতি সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত দুই বছর যাবত ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের সরকারি জমি (খাস) মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বরাদ্দ, জমির খাজনা, নামপত্তনসহ বিভিন্ন কাজে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসি।
Check Also
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন এর আয়োজনে বিজয় দিবস পালন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,পুরুষ্কার বিতারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …