ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে দুই যুবকের নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা সেবনের দৃশ্য। ইতিমধ্যে ছবির দুই ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে।
তাদের একজন সিলেটের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শায়েক আহমেদ এবং অপরজন ভানুগাছ রেলস্টেশন মাস্টার সাহাবুদ্দীন ফকির।
গত ১২ এপ্রিল রাত থেকে তাদের ইয়াবা সেবনের ছবিটি ফেসবুকে বেশ ভাইরাল।
সরকারি কর্মকর্তা ও যুবলীগ নেতার মাদক সেবনের দৃশ্যটি মৌলভীবাজার জেলায় এখন বেশ আলোচিত বিষয়।
ছবিটি ভাইরালের পর গত ১৪ এপ্রিল থেকে ভানুগাছ স্টেশন সাহাবুদ্দীন ফকিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে স্টেশনে বসে মাদক সেবনের সত্যতা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শায়েক আহমেদ।
তবে ছবিটি ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবরের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ছবিটির তারিখ এডিট করে কেউ হয়তো শত্রুতা করে ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে।
একইরকম বক্তব্য দিয়েছেন কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান।
তিনি বলেন, ছবিটি অনেক পুরনো। বর্তমানে এমন কিছু ঘটে থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নিত।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানা পুলিশের এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়লে আমরা খোঁজ নেই। অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারে এখনও পাইনি আমরা।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, অভিযুক্ত দুইজনসহ আরও কয়েকজন মিলে প্রায় রাতে রেলস্টেশনে ইয়াবা সেবন করে আসছিলেন। তাদের কেউ হয়ত ছবিটি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছে।
স্টেশন এলাকার বাসিন্দারা আরও জানান, এ ছবি প্রকাশ হয়ে পড়লে আটকের ভয়ে স্টেশন মাস্টার সাহাবুদ্দীন ফকির গা ঢাকা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে এ বিষয়ে গত ১৩ এপ্রিল বিকালে জরুরি বৈঠকে বসে অভিযোগ আমলে নিয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমলগঞ্জ যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র জুয়েল আহমদ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।