ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসির ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাফিলতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় দুই দিনব্যাপী ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআইজি মো. রুহুল আমীনের নেতৃত্বে একজন পুলিশ সুপার, দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক এ সময় তদন্তে উপস্থিত ছিলেন।
মাদ্রসার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ঘটনা সম্পর্কে তাদের মতামত গ্রহণ করেন। বুধবার তারা রাফির বাড়িতে গিয়ে রাফির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে সোনাগাজী আলহেলাল একাডেমিসংলগ্ন সামাজিক কবরস্থানে গিয়ে রাফির কবর জেয়ারত করেন।
বৃহস্পতিবারও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য, রাফির পরিবার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের মতামত গ্রহণ করেন এ তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার তিন দিন পর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়গুলো উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে সোনাগাজীর ওসিসহ স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমান কমিটিও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ প্রশাসনের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখেন। তদন্ত কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে, এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই ভবনের তিনতলায় যান। সেখানে মুখোশধারী বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি অস্বীকৃতি জানালে গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নুসরাত।