ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার নাম করে মাইনাস তত্ত্ব বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এই অশুভ চক্রান্ত করে লাভ হবে না বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলব- দেশনেত্রীকে নিয়ে মাইনাস ফর্মুলা বন্ধ করুন। ওয়ান ইলেভেনের সরকার মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের প্রাণপ্রিয় দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আপসহীন কঠোর ভূমিকায় তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। তারা সফল হলে আজ আপনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। প্যারোলের নামে মাইনাস তত্ত্বের অশুভ চক্রান্ত করে লাভ হবে না। তার জামিনে আর বাধা দেবেন না। আদালতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। আদালতের উপর থেকে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ হলেই আমাদের নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন আইনি প্রক্রিয়ায় জামিনে বেরিয়ে আসবেন। আইনকে তার নিজের গতিতে চলতে দিন। অপতৎপরতা বন্ধ না করলে আখেরে আপনাদেরকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। পরের জন্য গর্ত খুড়লে নিজেকেই সেই গর্তে পতিত হতে হয়-এটা কেবল প্রবাদ নয় বাস্তব। সুতরাং দেশনেত্রী ও বিএনপি-কে নিয়ে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়ায় সূত্রবিহীন একটি খবর ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্যারোলে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন, এমনকি তারা তারিখও বলে দিচ্ছেন! কিন্তু বাস্তবতা হলো- বিএনপির কোনো সূত্র এমন কিছুই জানে না। অথচ সরকারপন্থী কয়েকটি মিডিয়া প্রতিদিন মনগড়া প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রোপাগান্ডাগুলোর সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জড়িত বলে ব্যাপক গুঞ্জন আছে।
তিনি বলেন, এ প্রোপাগান্ডাগুলোর সঙ্গে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জড়িত বলে গুঞ্জন রয়েছে। খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ, কিন্তু তা নিয়ে মিডিয়াগুলো নীরব। প্যারোল নিয়ে সরকারি মিশন সফল করার জন্য ক্ষমতাসীনরা চতুর রাজনীতিতে লিপ্ত রয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিযে রিজভী বলেন, তিনি শারীরিকভাবে খুবই বিপর্যন্ত। হাত-পা নাড়তে পারছেন না। আর্থ্রাইটিসের ব্যথার কারণে পা নাড়াতে পারছেন না। তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। গতকালও চিকিৎসকরা বলেছেন, তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এ অবস্থায় দেশনেত্রী চাচ্ছেন তার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। কিন্তু এই অবৈধ সরকার তার জীবন হুমকির মুখে ফেলে সুদূরপ্রসারী স্বার্থসিদ্ধির ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
খালেদা জিয়ার দ্রুত মুক্তি দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আইনজীবীরা বলেছেন, তাকে যে মিথ্যা সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তা সহজ জামিনযোগ্য। আইনি প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক পথে জামিনে মুক্তি চান তিনি।