ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সোনাগাজী তাকিয়া রোডের নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করেন পিবিআই সদস্যরা।
আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সদ্য সাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
পিবিআই জানিয়েছে, এক আসামির সঙ্গে তার ছয় সেকেন্ডের কথোপকথনের অডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই আসামির স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফেনীর পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান তাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, শাহাদাত হোসেন শামীম নামে এক আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবনবন্দিতে রুহুল আমিন জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
‘সে মোতাবেক মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে ওই আসামির সঙ্গে তার ছয় সেকেন্ডের কথোপকথনের সত্যতা মিলেছে।’
তিনি বলেন, তবে নুসরাত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নুসরাত এবছর আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন।
এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষর লোকজন তার গায়ে আগুন দেয়।