ক্রাইমর্বাতা রির্পোট: ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে কোরআন নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশী কমিউনিটি বিতর্কিত ভিডিও ব্লগার সেফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।
ভিয়েনায় বসবাসরত বাংলাদেশীরা এ ব্যাপারে শুক্রবার একটি কমিটি তৈরি করেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতারা ভিয়েনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সঙ্গে এ ব্যাপারে একটি বৈঠকও করেছেন।
পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর টেলিফোনে বিবিসি বাংলার মাসুদ হাসান খানকে বলেন, ইস্টারের ছুটির পর বিষয়টি কূটনৈতিক চ্যানেলে অস্ট্রিয়ার সরকারকে তিনি জানাবেন।
“সেফাত উল্লাহ সাহেবের যেসব কথা ইউটিউবে পোস্ট হয়েছে, তাতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে অবমাননা করার বিষয় রয়েছে। এত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে…আমরা একইসাথে উদ্বিগ্ন যে বিষয়টি নিয়ে যেন ভিয়েনাতে বসবাসরত অন্যান্য দেশের মুসলিমদের মধ্যে অহেতুক কোনো উত্তেজনার সৃষ্টি না হয়।”
রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, বিষয়টি অষ্ট্রিয়ার সরকারকে অবগত করা প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে অস্ট্রিয়া-বাসী সেফাত উল্লাহ, যিনি সেফুদা নামেই সোশাল মিডিয়াতে বেশি পরিচিত, কোরআন নিয়ে, ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি এসব বক্তব্য দেন।
তার এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রবল সমালোচনাও শুরু হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সেফাত উল্লার বিচার দাবি করে ছোটোখাটো বিক্ষোভ হয়েছে বলে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর বেরিয়েছে।
কিন্তু পরের এক ভিডিও পোস্টে সেফাত উল্লাহ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তিনি বুধবার লাইভ ভিডিওতে কোরআনের পাতা ছেঁড়েননি। উর্দু একটি বইয়ের পাতা ছিঁড়েছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু ধর্ম নয়, ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে তিনি বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দিয়েছেন।
সেফাত উল্লাহর বক্তব্য শুনতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
রাষ্ট্রদূত আবু জাফরও বলেন, সেফাত উল্লার সাথে তাদেরও কোনো যোগাযোগ নেই।
ভিয়েনা নিবাসী আবিদ হোসেন খান বিবিসিকে বলেন, একসময় সেফাত উল্লার সাথে তার যোগাযোগ ছিল, কিন্তু এখন বাংলাদেশী কমিউনিটির কারো সাথেই তার তেমন কোনো যোগাযোগ নেই।
“এক ধরনের একাকী জীবন যাপন করেন তিনি। বেসামাল কথাবার্তার কারণে বাংলাদেশীরা তাকে এড়িয়ে চলেন। এক ছেলে অন্য দেশে থাকেন। স্ত্রী থাকেন বাংলাদেশে।”
সূত্র : বিবিসি