ক্রাইমবার্তা রিপোটঃ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার বদলা নিতেই শ্রীলঙ্কায় হামলা হয়েছিল বলে দাবি করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। গত রোববার একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো।প্রাণ গেছে তিন শ’র বেশি মানুষের।
প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের মসজিদে যে হামলা হয়েছিল তার বদলা নিতেই এই হামলা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুয়ান বিজয়বর্ধনে এই খবর জানান। শ্রীলঙ্কায় হামলা হয় রোববার। এরপর মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস পালন করে ভারত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্র। তিন মিনিটের জন্য নীরবতা পালন করে গোটা দেশ। গত রোববার সকাল সাড়ে আটটার সময়ে হামলা হয়েছিল। নীরবতা পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় রাখা হয়।
নীরবতা পালনের কিছুটা পরেই শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র বলেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১০ জন। বিস্ফোরণে আহত হওয়ার অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।হামলায় শহিদ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের শেষকৃত্য মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার রাত থেকেই গোটা দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।
হামলার কারণের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা প্রশাসনের অনুমান উগ্রবাদী সংগঠন আইএসআইএস- এর একটি সহযোগী সংগঠন এই হামলা চালিয়েছে। হামলার পর থেকেই গ্রেফতারি শুরু করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আরো কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে এনটিজে নামে একটি সংগঠনের নাম উঠে এসেছে। তাদের ভূমিকা কতটা আছে তা নিয়ে তদন্তকারীদের মনে সন্দেহও আছে। তারা বলছেন একটি ছোট সংগঠন এতবড় একটা হামলা সংগঠিত করতে পারে না। অন্য কোনো সংগঠন নিশ্চয় তাদের সাহায্য করেছে। কয়েক দশক আগে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারপর থেকে এতবড় ঘটনা আর কখনও ঘটেনি।