ক্রাইমবার্তা রিপোটঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক ব্রুনাই সফরকে অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসু আখ্যায়িত করে বলেছেন, সার্বিক বিবেচনায় এ সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
ব্রুনাই সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সফরকালে ব্রুনাই-এর সুলতান আমার এবং আমার সফরসঙ্গীদের প্রতি যে আতিথেয়তা ও সম্মান দেখিয়েছেন তা ছিল খুবই বিরল। আমাদের এ সফর দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আর সুদৃঢ় করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকেলে তার সরকারী বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ব্রুনাই সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে একথা বলেন।
ব্রুনাই দারুস সালাম-এর সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়ার আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২৩-এ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী সে দেশ সফর করেন।
কৃষিমন্ত্রী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীগণসহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ তার সফরসঙ্গী ছিলেন।
এছাড়া, দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গঠিত ৫৩-সদস্য বিশিষ্ট একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও তার সফরসঙ্গী হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরকালে তিনি ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়ার সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সহ সুলতান এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের সাধে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশ-ব্রুনাই বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশকিছু কর্মসূচিতে যোগ দেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতানের সরকারী বাসভবন নুরুল ইমান এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রুনাইর সুলতান হাসানাল বলকিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে কৃষি, মৎস্য, পশুসম্পদ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং এলএনজি সরবরাহ সংক্রান্ত ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
তিনি ব্রুনাই-এর রাজধানীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন।
কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং মৎস এবং প্রাণি সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এ সময় সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সংবাদ সংস্থার সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতার প্রারম্ভে প্রধানমন্ত্রী গত ২১ এপ্রিল শ্রীলংকার কলম্বোতে সিরিজ বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্বে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। তিনি এ ঘটনায় নিহত তার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরী সহ অন্যান্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ঘটনায় আহত জায়ানের পিতা মশিউল আলম চৌধুরীসহ আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। শেখ হাসিনা শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোববার ব্রুনাই দারুস সালাম-এর রাজধানী বন্দর সেরি বাগওয়ানের বিমানবন্দরে নামার পর পরই তিনি এই মর্মান্তিক হামলার খবর পান এবং এর কিছুক্ষণ পর জায়ানের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি এই নৃশংস হামলার নিন্দা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীকে শোকবার্তা পাঠাই। আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জনমত সৃষ্টি ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ব্রুনাই দারুস সালাম ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা লাভের পর পরই দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উদ্যোগে ব্রুনাই-এ বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন পুনঃস্থাপনের পর থেকে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত বিগত এক দশকে ব্রুনাই-এর সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তৃতায় বলেন, ২১-এ এপ্রিল বিকেলে তিনি ব্রুনাই বিমানবন্দরে পৌঁছলে ব্রুনাই-এর যুবরাজ হাজী আল মুহাতাদি বিল্লাহ তাকে স্বাগত জানান। বিমান বন্দরে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, একই দিন সন্ধ্যায় তিনি ব্রুনাই দারুস সালামে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে ব্রুনাই-এর সুলতানের রাজ প্রাসাদে সুলতান ও রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর এবং সফরসঙ্গীদের শুভেচ্ছা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাজ প্রাসাদের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুস সালাম-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের এবং ব্রনাই এর সুলতান তাঁর দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফর বিনিময়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, খাদ্য, কৃষি, মৎস্য, জ্বালানি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিমান যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রুনাই-এর পক্ষে সুলতান তার প্রস্তাবসমূহকে স্বাগত জানান এবং এগুলো বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রুনেই দারুস সালাম খাদ্য ও কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন উল্লেখপূর্বক এ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করে। কৃষিক্ষেত্রে কারিগরি সহযোগিতাসহ যৌথভাবে খামার স্থাপন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিপণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সম্ভাবনা বিবেচনার বিষয়ে দু’পক্ষ একমত হয়। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চালুর জন্য সমীক্ষা পরিচালনা এবং ভবিষ্যতে দ্বৈতকর অব্যাহতি চুক্তি এবং পারস্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ চুক্তির সম্ভাব্যতা বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, পর্যটন অবকাঠামো, পাট শিল্প ইত্যাদি প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়।
স্বাস্থ্য খাতে প্রশিক্ষণ ও পেশাজীবীদের নিয়োগ, ঔষধ উৎপাদন ও বাণিজ্য, বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ব্রুনাই ঐকমত্য পোষণ করে।
এছাড়া, দ্বিপাক্ষিক বিনিময় ও সহযোগিতা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে দু’দেশের মধ্যে আর্থিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। সামরিক খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়। একইসঙ্গে দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসী কর্মীদের অবদান উল্লেখপূর্বক এ ক্ষেত্রে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে দুই দেশই একমত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দু’দেশের জনসাধারণের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং এ লক্ষ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, যুব ও ক্রীড়া, পর্যটন, বিমান চলাচল খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আমরা একমত হই।
স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ‘এয়ার সর্ভিস এগ্রিমেন্ট’ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে দু’পক্ষ মতৈক্যে পৌছায়। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশন’ সহ এ ধরনের ‘কনসালটেশন মেকানিজম’ সক্রিয় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, ব্রুনাই-এর সুলতান বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রসংশা করেন। সুলতান শান্তিরক্ষা মিশনসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। আসিয়ান, ওআইসি, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে মতৈক্য হয়।
ব্রুনাই-এর সুলতান বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেয়া ও তাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুলতান রোহিঙ্গা সমস্যার ন্যায়ভিত্তিক ও স্থায়ী সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আসিয়ান দেশসমূহের অধিকতর অংশগ্রহণ ও কার্যকর ভূমিকা পালন নিশ্চিত করার বিষয়ে আমি সুলতানের সহযোগিতা কামনা করি।’
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক বিনিময় বৃদ্ধির জন্য আঞ্চলিক ফোরাম গঠনের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রতি সুলতান সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং আসিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো হল- এমওইউ অন সাইন্টিফিক এন্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন ইন দ্যা ফিল্ড অব এগ্রিকালচার। এমওইউ অন কোঅপারেশন ইন দ্যা ফিল্ড অব ফিশারিজ। এমওইউ অন কোঅপারেশন ইন দ্যা ফিল্ড অব লাইভস্টক। এমওইউ অন কালচারাল এন্ড আটর্স কোঅপারেশন। এমওইউ অন কোঅপারেশন ইন দ্যা ফিল্ড অব ইয়ুথ এন্ড স্পোটর্স এবং এমওইউ অন দ্যা ফিল্ড অব কোঅপারেশন ইন সাপ্লাই অব এলএনজি। এ ছাড়াও, এ সফরে কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্ট বহনকারীদের পারষ্পরিক ভিসা অব্যাহতির লক্ষ্যে কূটনৈতিক পত্র বিনিময় হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ব্রুনাই সুলতানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
সরকার প্রধান বলেন, বিকেলে তিনি বাংলাদেশ-ব্রুনাই যৌথ বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ অনুষ্ঠানে দু’দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের উদার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং ব্রুনাই-এর বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ব্রুনাই দারুস সালাম-এর সর্ববৃহৎ মসজিদ ‘জামে আছর মসজিদ’ পরিদর্শনে যান এবং রাতে সুলতান আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৩-এ এপ্রিল সকালে তিনি ব্রুনাই-এর রাজধানীতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং পরে ব্রুনাই-এর রাজকীয় রিগালিয়া জাদুঘর ও পরিদর্শন করেন।