সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজের সৌজন্যে: সাবেক সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ তার এক কবিতায় বলেছেন, ‘মৃত্যুকে আর আমার কোনো ভয় নেই/ যাকে আমি দেখেছি- একবার নয় একাধিকবার খুব কাছে থেকে একেবারে একান্তভাবে-আলিঙ্গনরত প্রিয়তমার মতো।’ যদিও কবিতাটি তার নিজের লেখা কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সমালোচকরা বলে থাকেন অর্থ ও ক্ষমতার জোরে এরশাদ কবি হয়েছেন। তবে কবিতাটির এ কথাগুলো এরশাদের মনের কথা বলে ধরে নেয়া হলে এখন কিন্তু সেই বাস্তবতা নেই। কারণ, সেই এরশাদকেই এখন ঘিরে ধরেছে মৃত্যু আতঙ্ক। মৃত্যু আতঙ্কে প্রায় রাতেই ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চলে যান তিনি। জানা যায়, একটানা ৯ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা এইচ এম এরশাদ প্রায় রাতেই সিএমএইচে চলে যান। কখনো শরীর বেশি দুর্বল মনে হলে স্যালাইন নিতে যান। কখনো রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে হাসপাতালে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা থেকে রক্ত নেন। তবে দুর্বলতা ও রক্তস্বল্পতার চেয়েও ইদানিং তিনি প্রায় রাতেই সিএমএইচে চলে যান এক ধরনের আতঙ্ক থেকে। সার্বক্ষণিক এরশাদের সঙ্গে থাকা একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মাঝে মধ্যে এমন ঘটছে যে, গভীর রাতে স্যার ঘুম থেকে উঠে তাকে সিএমএইচে নিয়ে যেতে বলেন। কেন জানি উনি হঠাৎ মনে করেন তিনি আর বাঁচবেন না, এমন আতঙ্ক থেকে সিএমএইচে চলে যান। এই আতঙ্কই এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা।
টানা ৯ বছর দাপটের সঙ্গে দেশ শাসন করলেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বাসায় একা থাকতে ভয় পান বলে- ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। এরশাদের শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে রাঙ্গা বলেন, ‘ঘুমের ডিস্টার্ব হলেও তিনি সিএমএইচে যান। বাসায় একা থাকেন বলে তাঁর একলা লাগে, ভয় করে। তা ছাড়া ইনফেকশনের (সংক্রমণ) ভয়ও আছে।’ এর আগে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এরশাদ সাহেব বাসায় একা থাকতে ভয় পান, এজন্য তিনি সিএমএইচে ভর্তি।’ জাপা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত একাধিক স্টাফের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরশাদ একা উঠে দাঁড়াতে পারেন না, একা হাঁটাচলাও করতে পারেন না। এমনকি একা বাথরুমেও যেতে পারছেন না। প্রায় সব কাজেই তাকে অন্যের সাহায্য নিতে হচ্ছে। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সিএসএইচ থেকে হুইল চেয়ারে সংসদে এসে শপথ নিয়েছিলেন এরশাদ। সেদিন বাসায় ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবারো হাসপাতালে ফিরে যান তিনি। এ সময় জাপা নেতারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে এরশাদ একেবারেই হাঁটতে পারছেন না। এমনকি নিজে-নিজে উঠে দাঁড়াতেও পারছেন না। অন্যের সহযোগিতায় হুইল চেয়ারে করে তাকে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দিয়ে দিলেন এরশাদ
শুধু মৃত্যু আতঙ্কেই নয় হয়তো জীবনের সময় ঘনিয়ে এসেছে এমন আশঙ্কা থেকে নিজের সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করে দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ। ৬ এপ্রিল ছোট ভাই জি এম কাদেরকে দলের ‘উত্তরাধিকার’ হিসেবে ঘোষণার পরদিন নিজের সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করে দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতি গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। ৭ এপ্রিল গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি একটি ট্রাস্টে দান করে দিয়েছেন।’ পাঁচ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। বোর্ড সদস্যদের মধ্যে আছেন এইচ এম এরশাদ, তাঁর ছেলে এরিক এরশাদ, ব্যক্তিগত সচিব মেজর (অব.) খালেদ আখতার, আত্মীয় মুকুল এবং ব্যক্তিগত কর্মী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তবে ট্রাস্টি বোর্ডে নিজের স্ত্রী রওশন এরশাদকে অন্তর্ভুক্ত করেননি এরশাদ। এর আগের দিন এক ‘সাংগঠনিক নির্দেশে’ এরশাদ ঘোষণা দেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তার আগের দিনই কো-চেয়ারম্যানের পদ ফিরে পান কাদের। অথচ এর দু’ সপ্তাহ আগে গত ২২ মার্চ কাদেরকে কো- চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন এরশাদ।
এরশাদকে ভুল করে ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল
এইচ এম এরশাদকে ভুল করে ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল বলে গত মার্চে অভিযোগ করেন দলটির মহাসচিব ও সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। ৩ মার্চ এরশাদের সফরসঙ্গী হিসেবে রংপুরে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন। জাপার মহাসচিব বলেন, ‘এইচ এম এরশাদ ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ভুল করে তাকে ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ফলে তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ ভুল চিকিৎসার কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। তার ভুল ডায়াগনোসিস করা হয়েছে। ডায়াগনোসিস রিপোর্টে ক্যানসারের কথা উল্লেখ করা হয়। সেই মতে তাকে ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভুল ওষুধ প্রয়োগের ফলে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাঁটা-চলা করতে পারতেন না। পরে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে ভুল চিকিৎসার বিষয়টি ধরা পড়ে।’
উত্থানে পতনে এরশাদ
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের রাজনীতিতে আলোচিত নাম। সেনাপ্রধান থেকে ক্ষমতা দখল। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৯ বছরের শাসন। অতঃপর রাজনীতিতে টিকে থাকা। ১৯৮২ সাল থেকে টানা ৩৭ বছরের ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে তার ভাল-মন্দের নানা দিক। কোন কোন কাজের তীব্র সমালোচনা। প্রেমিক হিসেবে খ্যাত প্রবীণ এই রাজনীতিক নিজ মুখেই বলেছেন, সামরিক শাসক হিসেবে ক্ষমতা নেয়ার পর রাজনীতিতে টিকে থাকার ইতিহাসে বিরল ব্যক্তি তিনি। তবে ক্ষমতাচ্যুতির পর স্বাধীনভাবে খুব একটা রাজনীতি চর্চা হয়নি তার। বড় দু’দলের কাছে কার্যত বন্দী এরশাদ। তার দীর্ঘ পথ চলায় মন্দ কাজের জন্য সমালোচিত বেশি। বার বার মত পাল্টানো নেতা হিসেবেও কুখ্যাতি অর্জন করেছেন। সকালে এক বিকেলে অন্য কথা বলায় তার জুড়ি নেই। অর্থাৎ রাজনীতির ময়দানে কোন সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেননি রাজনীতির পড়ন্ত বিকেলেও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, ক্ষমতায় থাকতে নিজের কর্মকান্ডের জন্য এরশাদ অনেক বেশি সমালোচিত। ক্ষমতায় থাকার সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সারাদেশে হত্যার অভিযোগ রয়েছে এরশাদের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক দলে ভাঙ্গনসহ গোটা রাজনৈতিক অঙ্গন কলুষিত হয়েছিল তার কিছু কূটচালের কারণে।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। ওই দিন বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, জনগণের ডাকে সাড়া দিতে হয়েছে। তাছাড়া জাতির সামনে আর কোন বিকল্প ছিল না। তিনি সামরিক শাসন জারি করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেও কোন কিছুকে তোয়াক্কা করেননি সাবেক এই সেনাপ্রধান। ক্ষমতার লোভে নিজের মতো করেই সবকিছু করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৮৩ সালের ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কমপক্ষে পাঁচজন ছাত্র নিহত ও শতাধিক আহত হন। এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রথম বলি হলেন জয়নাল, কাঞ্চন, মোজাম্মেল, জাফর ও দীপালি সাহা। এরশাদের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সেই প্রথম রক্ত ঝরেছিল ঢাকার রাজপথে। এর পরও অনেক তরুণের রক্ত ঝরেছে। নয় বছরে কয়েক হাজার মানুষকে তিনি হত্যা করেছেন।
এরশাদের জন্ম ১৯৩০ সালে ভারতের কুচবিহার জেলার দিনহাটায়। ভারতভাগের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে আসেন। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান দুজনই তাঁকে সেনাবাহিনীতে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু এরশাদকে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়ে এরশাদকে সেনাপ্রধান করেন। অভিযোগ আছে, ১৯৮১ সালের ৩০ মে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর এরশাদের নির্দেশেই সেনা কর্মকর্তা আবুল মঞ্জুরকে হত্যা করা হয়। তখন থেকেই এরশাদের উচ্চাকাঙক্ষা বাড়তে থাকে। বিচারপতি সাত্তারকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে আ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেন। ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বরে এরশাদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতা আঁঁকড়ে থাকার পর নব্বইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এরশাদ। লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন, ১৯৮৩, ১৯৮৭ ও ১৯৯০-এর ছাত্রবিক্ষোভ এবং গণ-আন্দোলনে তাঁর ক্ষমতার আসনটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। শেষমেশ তাঁর ক্ষমতার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল তরুণ কর্মকর্তা, যাঁরা তাঁর স্বেচ্ছাচারের দায় নিতে অস্বীকার করেছিলেন। তাঁদের হয়ে চিফ অব জেনারেল স্টাফ আবদুস সালাম এরশাদকে চূড়ান্ত বার্তাটি দিয়েছিলেন- এখন যাওয়ার সময় হয়েছে। জেনারেল এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন ৪ ডিসেম্বর রাতে। রাজনীতির লাগাম তখন তিন জোটের হাতে। তাদের ঐকমত্যের সূত্র ধরে ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে উপরাষ্ট্রপতি নিয়োগ করে তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন। ৯০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচন দিয়ে তিনি পুরোনো চাকরিতে ফিরে যান।
এরশাদ আনুষ্ঠানিকভাবে মসনদ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০। এদিন বেলা দুইটায় বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। এরশাদ নবনিযুক্ত উপরাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এভাবেই শেষ হয় নয় বছরের এরশাদ-জমানা। তবে সেখানেই শেষ হয়ে যাননি এরশাদ। বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের সরকার এরশাদকে জেলে ঢোকায়, তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দায়ের করে। খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকার তাঁর বিরুদ্ধে অনেক মামলা দায়ের করে এবং একটি মামলায় তিনি দ-িত হন। পরে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার এরশাদকে সব মামলায় জামিন দিয়ে জাতীয় সংসদে বসার সুযোগ করে দেয়। তারপর এরশাদ ২০০৫ সালে তাঁর জাতীয় পার্টি নিয়ে মহাসমারোহে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেন। ২০০৭ সালের এক-এগারোর কিছু আগে সমীকরণ আবার পাল্টে যায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এরশাদ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটে মহা অংশীদার হন। ২০০৯ সাল থেকেই তিনি এবং তাঁর দল ক্ষমতার ভাগীদার।
এর অর্থ ক্ষমতাচ্যুতির পরও এরশাদ একেবারেই শেষ হয়ে যাননি।
(সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে ২২ এপ্রিল ২০১৯ প্রকাশিত)
Check Also
বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেবহাটায় মানববন্ধন
দেবহাটা প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার এবং বিএনপির …