শিক্ষানুরাগী মাষ্টার রিজাউল করিমের দাফন সম্পন্ন

আবু সাইদ বিশ্বাসঃ ক্রাইমবার্তা রিপোট: সাতক্ষীরা: বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শ্রদ্ধাভাজন ব্যাক্তিত্ব মাষ্টার রিজাউল করিম এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সর্বস্তরের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় শিক্তহয়ে শুক্রুবার বিকাল ৪টার দিকে মুসলিম ধর্মীয় ঋতি অনুযায়ী জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বৃহষ্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎ্সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে তাঁহার বয়স হইয়াছিল ৭৯ বছর। ১৯৪১ সালের ১লা আগষ্ট সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খলিখষখালি ইউনিয়নের মঙ্গলানন্দকাটি গ্রামে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ডাক্তার ফজলুল করিমের ঘরকে আলোকিত করেন তিনি। জীবনেরে বেশিরভাগ সময়ে তিনি খলিষখালি মাগুরা উচ্ছবিদ্যালয়ে সুনামের সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি দলুয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ছিলে সর্বমহলে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। বিভাজিত সমাজেও সকলের শ্রদ্ধা অর্জনে সক্ষম হইয়াছিলেন তিনি।

তাঁর পারিবারিক সূত্র জানাই, গত দু’বছর আগে তিনি হার্ডএ্যার্টক করেন। পরবর্তিতে তিনি সুস্থ হলেও স্বাভাবিক হতে পারিনি। বৃহষ্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে ঢাকাস্ত তার ছেলে মঞ্জুরুল করিম ও মেয়ে শারমিনা নারগিস তাকে নিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। এসময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালে প্রবেশের আগেই তার মৃত্যু হয়। শুক্রুবার সকাল ১০টার দিকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সাতক্ষীরার নিজ পণ্য ভুমিতে আনা হয়। বিকাল ৪টার দিকে মঙ্গলানন্দকাটি সরকারী প্রাইমারী স্কুল মাঠে তার জানাযা সম্পন্ন হয়। জানাজা নামাজ পূর্বসমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপিত প্রকৌশলা মুজিবুর রহমান,উপজেলা চেয়ারম্যাম ঘোষ সনদ কুমার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক,স্থানীয় চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান সহ বিভিন্ন ব্যক্তি বর্গ। মাওলানা আহসান হাবীব জানাজা নামাজের ইমামতি করেন।
১৯৭৫ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি বালিয়াদহা স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। পৃথক র্পথক বিবৃতিতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

উপজেলা চেযারম্যান ঘোষ সনদ কুরাম জানান মাষ্টার রিজাউল করিমের মৃৃত্যুতে আজ সাতক্ষীরাবাসির মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং খলিষখালির মানুষকে অন্তরের গভীরে স্থান দিয়েছেন। এ জন্য জেলা তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবে। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

এলাকার বিশিষ্ট জনের রা জানান, তার মত সৎ,সাহসী মানুষ এখন আর খুজে পাওয়া যায় না।
তার প্রতিষ্টানে কর্মরত আছির উদ্দীন বিশ্বাস জানান, চাচাজী (মাষ্টার রিজাউল করিম) আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চাকুরি দিয়ে ছিল। বিনিময়ে একটি টাকাও নেয়নি। এমনকি তার সময়ে তার প্রতিষ্ঠানে যতজন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়ে ছিল কারোর কাছ থেকে একটিও টাকা অর্থবাণিজ্যের অভিযোগ নেই।
তিনি হজও সমাপ্ত করেছেন। তিনি নিয়মিত নামাজ ও পড়তেন, হিসাব করে যাকাত ও দিতেন। স্থানীয়রা জনান,আসলে এমন একজন মানুষ হারিয়ে আমরা অভিভাবক হীন হয়ে পড়লাম। আবু সাইদ বিশ্বাসঃ সাতক্ষীরা:

 

Check Also

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কর্মশালায় সাংবাদিকদের দাওয়াত নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় হাওর না থাকলেও হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয়” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।